মালদহে আদিবাসীদের রেল রোকো। নিজস্ব চিত্র।
২০২১-এর জনগণনায় আদিবাসীদের প্রকৃত ধর্মের উল্লেখ করতে হবে। এই দাবিতে রবিবার সকাল থেকে সারা ভারত রেল সড়ক অবরোধের ডাক দেয় ‘আদিবাসী সেঙ্গল অভিযান’ সংগঠন। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় সকাল থেকেই শুরু হয় এই রেল ও সড়ক পথ অবরোধ। আর এই অবরোধে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে মালদহ লাগোয়া বিহারের আজমনগর রোড স্টেশনে আটকে গেলেন বিমল গুরুং। তিনি আপ দার্জিলিং মেলে শিলিগুড়ি যাচ্ছিলেন। পরে সড়ক পথ ধরেন গুরুং।
সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ শুরু করেন আদিবাসী সেঙ্গল অভিযানের সদস্যরা। মালদহেও শুরু হয় রেল রোকো। কিন্তু দার্জিলিং মেলে বিমল গুরুং ছাড়াও ছিলেন প্রায় দেড় হাজার পিএসসি পরীক্ষার্থী। তাঁদের শিলিগুড়িতে বিভিন্ন সেন্টারে সকাল ১১টা থেকে পরীক্ষা ছিল। কিন্তু তাঁরা আদিবাসীদের আবরোধের জেরে আটকে পড়েন। তাই তাঁরা আবার পাল্টা আবরোধ শুরু করেছেন। শেষ পাওয়া খবরে পরীক্ষার্থীদের আবরোধের ফলে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রেল চালু হয়নি। সেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেল ও স্থানীয় প্রশাসন।
এর আগে উত্তর দিনাজপুরে জায়গায় জায়গায় জাতীয় সড়কে যানজট দেখা দেয় এবং বিভিন্ন স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক ট্রেন। পরে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। একে একে উঠতে থাকে অবরোধ। রেল ও সড়ক ফের স্বাভাবিক হয়।
আদিবাসীরা হিন্দু, মুসলিম বা খ্রিস্টান নন। পরম্পরাগত ভাবে তাঁরা প্রকৃতি উপাসক। আদিবাসী সেঙ্গল অভিযান-এর দাবি, তাঁদের ধর্ম হিসেবে 'সারনা ধর্ম কোড' লাগু করতে হবে জনগণনায়। এই দাবিতে ব্যানার প্লাকার্ড নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ডালখোলা, মালদহের একাধিক জায়গায় অবরোধ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণ অবরোধের হস্তক্ষেপ করেনি পুলিশ প্রশাসন। বেশ কিছুক্ষণ পর প্রশাসনের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
চোপড়া থানার আইসি বিনোদ গজমের আন্দোলনকারীদের কাছে গিয়ে বলেন, “আমি আপনাদের এই দাবি সম্মিলিত স্মারকলিপি উচ্চতর প্রশাসনের হাতে পৌঁছে দেব। আপনারা আবরোধ তুলে নিন।” তাঁর অনুরোধ মেনে চোপড়ার অবরোধ তুলে নেয় ‘আদিবাসী সেঙ্গল অভিযান’।