গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় বেশ কয়েক জন যাত্রীর। আহত হন অনেকে। ঠিক কী ভাবে এই দুর্ঘটনা হয়েছিল এবং ঠিক কোন সময়ে হয়েছিল, তার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রেল।
এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিকেল ৪টে ৫৫ নাগাদ দুর্ঘটনাটি হয়। রেলের কাছে সেই খবর আসে ৫টার সময়। প্রাথমিক তদন্তে উঠেছে, ‘লোড’, ‘লোকো’ এবং ‘প্যান্টো’ (ট্রেনের সঙ্গে ওভারহেড তারের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ব্যবহার হয়) ভেঙে যেতেই প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভব করেন চালক। তিনি ট্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করে থামিয়ে দেন। বেরিয়ে এসে দেখেন চার থেকে পাঁচটি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তত ১০ কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল। ট্রেনের প্রথম ইঞ্জিনটি লাইনে থাকলেও শেষেরটি লাইচ্যুত হয়েছিল।
রেলের প্রকাশিত রিপোর্ট
রেল দুর্ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে ইঞ্জিনে সমস্যা ছিল ট্রেনটির। এ বিষয়টি চালক জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে এসে স্টেশন-মাস্টারকে তা জানিয়েও ছিলেন। তার পর অপেক্ষা না করে তিনি ট্রেন নিয়ে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেন। এর পরই দুর্ঘটনা ঘটে।
এই অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি-র নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটিকে আপাতত নিউ দোমহনি স্টেশনের আলাদা করে রাখা হয়েছে। তদন্তকারী দলের এই রিপোর্টটি গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।