বেঙ্গল সাফারি পার্ক।
বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উত্তরবঙ্গে এসে সিংহ আনার কথা বলেছিলেন বেঙ্গল সাফারি পার্কে। কিন্তু কেবল সিংহই নয়, সাফারি পার্কের শোভা বাড়াতে জলহস্তি এবং জেব্রা আনারও প্রস্তাব কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাচ্ছেন বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। এ মাসের শেষেই প্রস্তাব তৈরি করে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ। গত বছর লখনউয়ের একটি চিড়িয়াখানায় ইজরায়েল থেকে আনা হয়েছিল তিনটি জেব্রা।পুণের একটি চিড়িয়াখানাতেও চলতি বছর জেব্রা আনার কথা রয়েছে।
বেঙ্গল সাফারি পার্কে আরও কিছু পশুপাখি আনার প্রস্তাব অনেকদিন ধরেই রয়েছে। তা নিয়ে এ বার সরাসরি পদক্ষেপ করতে শুরু করেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ভিত্তিতেই ওই সব প্রাণী চিড়িয়াখানায় থাকতে পারে। সেই প্রস্তাব তৈরি হচ্ছে। বেঙ্গল সাফারি পার্কের অধিকর্তা দাওয়া শেরপা বলেন, ‘‘সিংহ, জলহস্তি, জেব্রা ছাড়াও এবং হিমালয়ানকালো ভাল্লুক রাখার পরিকল্পনা করছি। প্রস্তাব পাঠানো হবে শীঘ্রই।’’
পার্ক সূত্রে খবর, এর আগে বিদেশী বাঁদর এবং ক্যাঙারুও উদ্ধার হয়ে বেঙ্গল সাফারিতে এসেছে। সেগুলি প্রাণীর জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরির কাজ করা হচ্ছে। নতুন পশুপাখি আকর্ষণ বাড়লে বেঙ্গল সাফারিতে কিছুটা বাড়তি আয়ের রাস্তা খুলতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বন দফতর সূত্রে খবর, প্রস্তাবগুলি কেন্দ্রীয় অনুমোদন পেলে তবে রাজ্য বন দফতর জেব্রা আনার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করতে পারে। কেনিয়া বা ইজরায়েল থেকে জাহাজে করে সেটি আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন আধিকারিকরা। তবে তার আগে অনুমোদন জরুরি।
জলহস্তি, এবং জেব্রা এলে দর্শকদের আকর্ষণ আরও বেড়ে যেতে পারে বলেই মনে করছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ। করোনার পর থেকে পার্কে দর্শকদের আসার হার কমে গিয়েছে। তাই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস চালু হয় কয়েকমাস আগে। তা ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে বলে জানান আধিকারিকরা। চালু হয়েছে প্রজাপতি বাগান। নানা রকমের আকর্ষণীয় পশুপাখিও বাড়ানোর জন্য ধীরে ধীরে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান আধিকারিকরা।