তাণ্ডব: কুশমণ্ডিতে খোলা অস্ত্র হাতে চড়াও। নিজস্ব চিত্র
মঙ্গলবার ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠে কুশমণ্ডি। অভিযোগ, এ দিন সকালে স্থানীয় বাম ও বিজেপির সশস্ত্র সমর্থকেরা তৃণমূলের বিদায়ী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী মিঠু জোয়ারদারের বাড়িতে হামলা করে। রাম দা, লাঠি নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। মিঠুর স্বামী ও ছেলেকে মারধর করা হয়। স্থানীয় আর এক তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী তথা বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণগোপাল বসাককে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। তাঁকে আহত অবস্থায় গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মিঠু জোয়ারদার বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে সাতটায় বাম-বিজেপির কর্মীরা দলবদ্ধভাবে এসে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। আমার স্বামীকে মারধর করে। বাঁচাতে গেলে আমার ছেলের মাথায় রাম দা দিয়ে কোপ মারার চেষ্টা করে। অল্পের জন্য ছেলে বেঁচে গিয়েছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আমাদের একজন সদস্যকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’
যদিও বাম ও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ, গত সোমবার সন্ধ্যায় একবার মিঠু জোয়ারদারের বাড়িতে হামলা হয়। এ দিন সকালে ফের একদল মানুষ সশস্ত্র অবস্থায় মহিপালে মিঠুর বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ করে। মারধরের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকাও লুটপাট করে নিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। এদিকে মিঠুর বাড়ির পাশেই পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণগোপাল বসাকের দোকান। দোকানে ঢুকে তাকে বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এখন তাঁকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বর্তমানে কুশমণ্ডির জেলা পরিষদের প্রার্থী মিঠুর বাড়িতে হামলা হচ্ছে। এক জনকে মেরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিরোধীরা তাদের উপরে হামলার যে অভিযোগ করত, সেটা যে মিথ্যে এই ঘটনার পরে প্রমাণ হল। আমরা চাই যারা এইভাবে সন্ত্রাস করছে, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।’’
আরএসপি’র জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী যদিও বলেন, "আমাদের বিধায়ক, প্রার্থীদের মেরে মনোনয়ন দিতে দেওয়া হল না। এখন এই সব কথা বলে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ বিজেপি নেতা রণজিৎ রায়ের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল নিজেদের গন্ডগোল আমাদের নামে চালাচ্ছে। আমাদের কর্মীদের মারধর করে এখন উলটে আমাদের ঘাড়েই দোষ দিচ্ছে।’’ তৃণমূলের দাবি অভিযোগ ভিত্তিহীন।