দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়ি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি থেকে উদ্ধার এক যুবকের দেহ। তিনি স্থানীয় একটি পানশালায় কাজ করতেন। শুক্রবার সকালে ওই বাড়ির ছাদে একটি মই থেকে দেহটি ঝুলতে দেখেন এলাকাবাসীরা। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় বাড়ির মালিককে। বাড়ির মালিক ছাদে উঠে দেখেন তাঁরই দোকানের কর্মীর দেহ ছাদে রাখা মই থেকে ঝুলছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির জলপাইমোড় লাগোয়া একটি পানশালায় কাজ করতেন ওই যুবক। নাম মিঠুন রায় (২২)। জলপাইগুড়ির হলদিবাড়ির বাসিন্দা। কয়েকমাস আগে ওই পানশালায় যোগ দেন তিনি। পানশালার মালিকের অন্য একটি বাড়িতেই সমস্ত কর্মী একসঙ্গে থাকতেন। তাঁদের সঙ্গে মিঠুনও থাকতেন। সহকর্মীদের দাবি, বৃহস্পতিবার থেকেই চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন মিঠুন। কাজ থেকে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসেন। এর পর শুক্রবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হল।
ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মিঠুনের সহকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যা না খুন, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে পানশালার ম্যানেজার বিভাস দত্ত জানান, ‘‘হলদিবাড়ির দিকে থাকত। শুনেছি গতকাল একটি ফোন আসার পরই চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসে। সকালে দেখছি এই ঘটনা।’’ ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি কৌশিক দত্ত জানান, ‘‘বাড়ির ছাদে ওই পানশালা কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খুব কম বয়স। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’