আলোচনা: শুভায়ন হোমে বৈঠকে বাংলাদেশের মন্ত্রী ও আধিকারিকেরা
অবৈধ ভাবে ভারতে অনু্প্রবেশের পরে ধৃত বাংলাদেশি শিশু কিশোরদের দক্ষিণ দিনাজপুরে সরকারি হোমের আশ্রয় থেকে দ্রুত নিজদেশে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করল সে দেশের সরকার। শুক্রবার সকালে বালুরঘাটে জেলা সমাজকল্যাণ দফতর পরিচালিত শুভায়ন হোম পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার, কলকাতার মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) বিএম জামাল হোসেন। ছিলেন মন্ত্রীর স্ত্রীও। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সে দেশের কনসুলার অ্যাসিস্ট্যান্ট চৌধুরী আতাউস সালাম। হোম পরিদর্শন করে আটক ১৯ জন বাংলাদেশি কিশোরের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমিরাজস্ব) প্রণবকুমার ঘোষ ও অন্য আধিকারিকরা।
তিন দিকে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ঘেরা বালুরঘাটে মাঝে মধ্যেই অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ ও বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে বাংলাদেশি শিশু, কিশোর ও কিশোরীরা। কখনও কাজের খোঁজে। আবার কখনও দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে তারা ভারতে ঢুকেধরা পড়ে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ভাবে প্রবেশের পরে যে সমস্ত বাংলাদেশি শিশু কিশোর ধরা পড়ে, তাদের বালুরঘাটের শুভায়ন হোমে রাখা হয়। কিশোরীদের ঠাঁই হয় মালদহের মহিলা সরকারি হোমে। বর্তমানে শুভায়ন হোমে ১৯ জন বাংলাদেশি কিশোর রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ওই কিশোদের অনেকেই পুশব্যাক প্রক্রিয়ার নিয়মের দীর্ঘসূত্রিতায় ছ’-সাত বছর ধরে দেশে ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছে। দ্রুত তাদের প্রত্যর্পণের জন্য এ দিন বাংলাদেশের তিন জনের প্রতিনিধি দল হোম পরিদর্শন করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এবং প্রত্যেক বাংলাদেশি কিশোরদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। এদের মধ্যে আটক তিন জন কিশোরকে আগামী ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হবে জানান মন্ত্রী জামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রে নাম ঠিকানার ভুলে হোমে বন্দি ওই শিশু কিশোরদের অনেকের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়। সেই সমস্যা কাটাতে আমরা সরজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখি।’’ বাংলাদেশের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাঁদের এই সফরসূচী বলে জানা গিয়েছে। পরিদর্শনের পরে জামাল জানান, হোমের পরিবেশ খুবই ভাল।