—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে ভরাডুবির কারণ খতিয়ে দেখতে বালুরঘাটে গোপনে প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) টিম নাকি সমীক্ষায় নেমেছে। এই খবর ছড়াতেই আতঙ্কিত তৃণমূল নেতাদের একাংশ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে তৎপরতা বাড়ালেন। প্রবীণ নেতা থেকে প্রতিমন্ত্রী, বিধায়ক থেকে ব্লকস্তরের নেতারা দলবল নিয়ে ওই কর্মসূচি সফল করতে দলবল নিয়ে ঝাঁপিয়েছেন। দিনভর বাসিন্দাদের সঙ্গে জনসংযোগ করে অভিযোগ শুনছেন। কর্মীদের বাড়িতে বসে খাওয়াদাওয়াও করছেন।
১ অগস্ট রাজ্য জুড়ে শুরু হলেও বালুরঘাটে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ঝিমিয়ে ছিল বলে অভিযোগ। দলের জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ কলকাতায় ছিলেন সেই সময়। কিন্তু বালুরঘাট শহরে দু’একজন নেতা ছাড়া আর কাউকে নামতে দেখা যায়নি। খাপছাড়া ভাবে কয়েকদিন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলরা জনসংযোগে নামেন। কিন্তু বালুরঘাট শহর জুড়ে ওই কর্মসূচি গতি পায়নি বলে দলের একাংশেই অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহ থেকে বালুরঘাটে পিকে’র টিমের গোপন অভিযানের খবর শাসক শিবিরে পৌঁছতেই শহরের কয়েকজন নেতা নড়েচড়ে বসেন। পিকে’র টিম কোথায় যাচ্ছে, কাদের সঙ্গে কথা বলছে, তা জানতে ওই নেতারা খোঁজখবর নিতে শুরু করেন বলে জানা গিয়েছে। আর এরপরই প্রচারে নেমে পড়েন নেতারা। পিছিয়ে নেই প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীও। তিনিও ওই কর্মসূচির প্রচারে নেমেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি পিকের টিম রাতারাতি শহরের একাংশ নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধির উৎস খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। এলাকার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারানোর পরেও কীভাবে ওই নেতারা ক্ষমতার শিখরে রয়েছেন, তার রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের আগে তাঁদের ডানা ছাঁটা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এ দিন তৃণমূল জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘পিকের দল তাদের মত করে সবকিছু খতিয়ে দেখে দলনেত্রীকে রিপোর্ট দেবে। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই।’’ বালুরঘাট শহরে জনসংযোগ বাড়াতে ১০০দিন ধরে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চলবে বলে অর্পিতা জানান।