জেল হেফাজতে শিশুর জেঠিমা শিবানী বিশ্বাস। — নিজস্ব চিত্র।
তিনি নিজে বুঝতে পারছেন না এত বড় কাণ্ডটা কী ভাবে ঘটিয়ে ফেললেন। এমনটাই প্রতিক্রিয়া ভাইপোকে মেঝেয় আছাড় মেরে গ্রেফতার হওয়া জেঠিমা শিবানী বিশ্বাসের। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। শনিবার শিবানীকে পাঁচ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যে আসে পুরাতন মালদহ থানার যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিরগড়় এলাকার একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিয়ো। তাতে দেখা গিয়েছে, ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা এক শিশুকে তুলে মেঝেয় আছাড় মারছেন তার জেঠিমা। শিশুটি চিৎকার করে গেলেও নিস্পৃহ ওই মহিলা। শিশুটিকে কয়েক বার মেঝেয় আছাড় মারার পর তাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে চুপচাপ ঘর থেকে বেরিয়ে যান ওই মহিলা। ওই কাণ্ডে অভিযুক্ত শিশুটির জেঠিমা শিবানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে শিশুটিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। শনিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছিল। তাঁকে পাঁচ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ নিয়ে অভিযুক্ত শিবানীর বক্তব্য, ‘‘আমি নিজেই বুঝতে পারিনি কী হয়ে গেল। এর আগে মারিনি। কেন মারলাম ওকে তা বুঝতে পারছি না। ভুল হয়ে গিয়েছে।’’
শিবানীর কড়া শাস্তির দাবি করে শিশুটির মা অর্পণা বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘‘এক বছর ধরে অত্যাচার করছিল আমার ছেলেটাকে। আমি বাড়িতে শুনতাম, আমার ছেলেকে ভূতে মারছে। তাই মোবাইলের ক্যামেরা অন করে গিয়েছিলাম। তাতেই ধরা পড়ল যে ওর জেঠিমা ওকে মারছে।’’