রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। — ফাইল চিত্র।
আবারও মেজাজ হারাতে দেখা গেল কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। পুর এলাকায় বিজ্ঞাপন লাগানোর কাজ করছিলেন এক সংস্থার দুই কর্মী। তাঁদের নামিয়ে কলার ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, বকেয়া টাকা না মিটিয়েই পুর এলাকা জুড়ে বিজ্ঞাপন লাগাচ্ছে ওই সংস্থা।
শনিবার কোচবিহার পুরসভা এলাকায় হোর্ডিং লাগানোর কাজ করছিলেন শিলিগুড়ির একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার দুই কর্মী। ঘটনাচক্রে সেখানে পৌঁছান রবীন্দ্রনাথ। তিনি ওই দুই যুবককে শহরের মোড়ে কিয়স্কের উপরে হোর্ডিং লাগাতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই দুই যুবকের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘নাম। ধরো তো ওদের। চল থানায় চল।’’ এর পর ওই দুই যুবককে নামিয়ে তাঁদের কলার ধরে থানায় নিয়ে যান রবীন্দ্রনাথ। পুলিশ ওই দুই যুবককে আটক করেছে।
যুবকের কলার ধরেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। — নিজস্ব চিত্র।
রবীন্দ্রনাথের অভিযোগ, বর্তমানে আদালতের নির্দেশে কোচবিহার পুরসভা এলাকায় বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগানো বন্ধ রয়েছে। তার পরেও কয়েক জন অবৈধ ভাবে পুর এলাকায় হোর্ডিং লাগাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিনা অনুমতিতে কোচবিহার পুরসভায় হোর্ডিং লাগিয়েছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থা। কখনও কখনও পাঁচটি বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি নিয়ে ৫০০টি হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। পুরসভার বিদ্যুৎও চুরি করেছে। তাই কোচবিহার পুরসভা বিভিন্ন এজেন্সিগুলিকে তাদের বকেয়া মেটাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, নতুন চুক্তি করতে বলা হলেও ওই সব সংস্থা তা করেনি। বকেয়া টাকাও পরিশোধ করেনি। তাই কোচবিহার পুর এলাকার সমস্ত বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং খুলে দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থাগুলি এ নিয়ে আদালতে মামলা করেছে। আদালত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হোর্ডিং লাগানো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তার পরেও কয়েক জন অবৈধ ভাবে রাতের অন্ধকারে হোর্ডিং লাগাচ্ছে।’’