গৌতম দেব ও অশোক ভট্টাচার্য
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন শিলিগুড়ি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা। সোমবারের ঘটনা। সুভাষপল্লির বাসিন্দা মায়া সরকারের মৃত্যুতে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ করেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। মায়াদেবী ডেঙ্গিতেই মারা গিয়েছেন বলেও অভিযোগ বাড়ির লোকের। মঙ্গলবার মায়া সরকারের বাড়িতে দেখা করতে যান পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
এ দিন মন্ত্রী অভিযোগ করেন, শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মেয়রের চিনে যাওয়া নিয়ে আক্রমণ করে মন্ত্রী দাবি করেন শহরে ডেঙ্গি বাড়ছে আর মেয়র চিনে বেড়াতে যাচ্ছেন। যদিও মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, বেড়াতে নয়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অনুমোদনেই তিনি চিন সরকারের আমন্ত্রণে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
এ দিন গৌতম দাবি করেন, ফুলেশ্বরী নদীর ধারের এলাকায় নানা সমস্যা রয়েছে। ডেঙ্গির প্রকোপে বাসিন্দারা ভুগছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মন্ত্রীর দাবি, প্রাথমিকভাবে সাফাই অভিযান চালানো পুরসভার কাজ। তিনি বলেন, ‘‘এই সময় মেয়র শিলিগুড়ির মানুষকে ফেলে রেখে পারিষদদের নিয়ে যাচ্ছেন চিনে। শিলিগুড়িতে কত ভাল টেবিলটেনিস খেলা হচ্ছে তা চিন ও কোরিয়াকে বোঝাতে। ভণ্ডামি ছাড়া এগুলি আর কী?’’ মন্ত্রীর দাবি, মেয়র গত ২০ বছর ধরে নানা সময়ে বিদেশ ঘুরেছেন। আর মশাবাহিত রোগে ব্লিচিং ছড়িয়ে রসিকতা করা হচ্ছে বলে তাঁর কটাক্ষ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে তিনি খোঁজ নেবেন বলে জানান।
মেয়র ও মেয়র পারিষদদের চিনে যাওয়া নিয়ে এর আগেও আক্রমণ করেছিলেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার। শহরে ডেঙ্গির প্রকোপের সময় মেয়রের চিন যাওয়ার বিরোধিতা করে মঙ্গলবার পুরসভার মাসিক বৈঠক বয়কট করার ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। এ দিন মেয়র পুরবোর্ডের বৈঠকে তাঁর চিনযাত্রার আমন্ত্রণের কথা জানান। তাঁর দাবি, কলকাতায় ১২ জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন, তখন কলকাতার মেয়র কোপেনহেগেন গিয়েছিলেন। মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘পুরসভা সাফাই এবং সচেতনতার কাজ করে। আমরা সাধ্যমত তা করছি। আমি ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করে চিনে যাওয়ার কথা বলেছি। তিনি বলেছেন ঘুরে আসুন।’’
মেয়রের দাবি, চিনে যাওয়ার খরচ সেদেশের সরকার বহন করবে। তাঁর দাবি, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে। এ দিন সকালে তিনি মায়াদেবীর বাড়ি গিয়েছিলেন বলে জানান। তিনি কাজে শহরের বাইরে গেলেও পুরসভার কাজ একই ভাবে চলবে বলে তাঁর দাবি।