ফাইল চিত্র।
কেএলও’র সঙ্গে কোনও যোগ নেই গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের। রবিবার তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল গ্রেটার নেতা অনন্ত রায়ের (মহারাজ) বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে স্পষ্ট ভাবে সে কথা জানিয়ে দেন মহারাজ। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে কলকাতায় এসেছিলেন। সেই সময় কেএলও প্রধান জীবন সিংহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছিলেন। তা নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে হইচই হয়েছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী ফিরে যাওয়ার পরে এই প্রথম তৃণমূলের একটি দল মহারাজার বাড়িতে যান। ওই দলে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং আলিপুরদুয়ার তৃণমূলের সহ সভাপতি প্রেমানন্দ দাস। রবীন্দ্রনাথ ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। প্রেমানন্দ বলেন, “মহারাজার সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। আর কেএলও নিয়ে তো মহারাজ তাঁর বক্তব্য আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন।”
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের সময়ে বাংলা ভাগ নিয়ে সরগরম পরিস্থিতি হয়। কেএলও প্রধান জীবন সিংহ ভিডিও বার্তায় আলাদা কোচ-কামতাপুর রাজ্যের দাবি করেন। এমন কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কোচ-কামতাপুরের মাটিতে পা না রাখেন সে ব্যাপারেও তাঁকে সতর্ক করেন। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকেএলওকে কড়া বার্তা দেন। তিনি রক্ত দিতে রাজি আছেন, কিন্তু বাংলা ভাগ হতে দেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জানান, বন্দুক দেখিয়ে তাঁকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে লাভ নেই। তিনিবন্দুকের মুখ ভোঁতা করে দেওয়ারই পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য ভাগ প্রসঙ্গে নিয়ে আলোচনা আরও বেড়ে যায়। ভারতভুক্তি চুক্তি অনুসারে কোচবিহারকে আলাদা রাজ্যের দাবি করে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করছে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। তার একটি অংশের নেতা অনন্ত মহারাজ, অন্য অংশের নেতা বংশীবদন বর্মণ।
জীবন সিংহ এর আগে একাধিক ভিডিও বার্তায় অনন্ত মহারাজ ও গ্রেটার কোচবিহারের নাম নিয়েছিলেন। অনন্ত মহারাজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন জীবন। মহারাজ অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, এক জন জঙ্গির সঙ্গে কোনও সম্পর্কথাকতে পারে না তাঁর। যারা আইনবিরুদ্ধ কাজ করে, তাঁদের বিরুদ্ধে তিনি। তিনি অহিংস আন্দোলনের পক্ষে। আর কেএলও’র সঙ্গে গ্রেটারের দাবিরও কোনও মিল নেই। দলীয় সুত্রের খবর, এ দিন তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাম্প্রতিক রাজনীতি থেকে শুরু করে আলাদা রাজ্যের বিষয় নিয়ে কথা বলেন মহারাজ।