BJP

BJP: সাংসদের নির্দেশেই কি চাকরি টোল গেটে?

সূত্রের দাবি, সাংসদ একটি সাদা কাগজে কম্পিউটার প্রিন্ট করে তিরিশ জনের নামের তালিকা পাঠিয়েছেন টোল প্লাজার দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি সংস্থার কাছে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২১ ০৬:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়কে জলপাইগুড়ি জেলায় দু’টি টোল গেটে কর্মী নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল সাংসদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, দু’টি টোল গেটের পরিচালনার দায়িত্ব থাকা ঠিকাদারি সংস্থাকে ৩০ জনের নামের তালিকা পাঠিয়ে তাঁদের থেকে যাতে নিয়োগ করা হয়, সেই ব্যাপারে প্রভাব খাটিয়েছেন জলপাইগুড়ির সাংসদ। সূত্রের খবর, সেই তালিকায় রয়েছে দলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি থেকে মণ্ডল সভাপতির ছেলের নাম। আরও দাবি, ৩০ জনের সকলেই হয় বিজেপি কর্মী অথবা তাঁদের নিকট আত্মীয়। সূত্রের আরও দাবি, এই তালিকা ধরে সকলের নিয়োগ এর মধ্যেই হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

সাংসদ জয়ন্ত রায় অবশ্য এই অভিযোগ অবাস্তব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সাংসদ বলেন, “আমি আমার প্যাডে চিঠি দিয়েছি বা চিঠিতে আমার সই করা রয়েছে— তা দেখাতে পারবেন?’’ তবে বিজেপি কর্মীরা যে কাজ পেয়ে থাকতে পারেন, সেই ইঙ্গিত রয়েছে তাঁর কথাতেই। সাংসদ বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীরা টোল গেটে চাকরি পাবে না, এমন কথা আছে নাকি!’’ একই সঙ্গে তিনি সম্পূর্ণ অন্য প্রসঙ্গ টেনে এনে এ-ও বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের বিভিন্ন চুক্তিভিত্তিক পদে শুধু তৃণমূল কর্মীদের নিয়োগ হয়। একশো দিনের কাজে শুধু তৃণমূল পরিবারকে কাজ দেওয়া হয়।”

সূত্রের দাবি, সাংসদ একটি সাদা কাগজে কম্পিউটার প্রিন্ট করে তিরিশ জনের নামের তালিকা পাঠিয়েছেন টোল প্লাজার দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি সংস্থার কাছে। এক থেকে ত্রিশ ক্রমিক নম্বর দিয়ে সকলের নাম লেখা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি কলম রয়েছে। তাতে চাকরি প্রার্থীর নাম, প্রার্থীর বাবার নাম, কোন বিধানসভায় তিনি থাকেন, তার উল্লেখ রয়েছে। জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, মালবাজার বিধানসভা থেকেও নাম রয়েছে বলে দাবি। নাম ধরে ফাটাপুকুর এবং চূড়াভান্ডার টোল গেটে চাকরি হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। টোল গেট পরিচালনকারী ঠিকাদার সংস্থার তরফে এক আধিকারিক বলেন, “আমদের তরফ থেকে কিছু বলার নেই।”

Advertisement

দাবি অনুযায়ী, সাংসদের দেওয়া চিঠিতে নাম রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি তপন রায়ের ছেলের। তপন রায়ের নামও লেখা রয়েছে চিঠিতে। তপন রায়ের কথায়, “আমি জানি না ছেলে কী ভাবে চাকরি পেয়েছে। নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়ে থাকবে। সব কিছুতে রাজনীতি জড়িয়ে নোংরামি করা উচিত নয়।” সূত্রের দাবি, ময়নাগুড়ি উত্তর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি রথীন আচার্য এবং তাঁর ছেলের নামও রয়েছে চিঠিতে। রথীন বলেন, “অস্থায়ী চাকরি, হাজিরা ব্যবস্থায়। আমার ছেলে নিজেই পরিচয়ের সুবাদে কাজ পেয়েছে।” শুধুমাত্র বিজেপি কর্মী বা তাঁদের আত্মীয়েরাই জাতীয় সড়কের টোল গেটে কী ভাবে চাকরি পেল, সে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement