প্রতীকী ছবি।
বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা ও দলেরই মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গার উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। হামলার সময় শূন্যে এক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। বুধবার সন্ধ্যায় বীরপাড়ার দলমোড় চা বাগান এলাকার ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বীরপাড়া থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা নিতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ সাংসদের। তাঁর আরও অভিযোগ, পুলিশ শেষ পর্যন্ত অভিযোগপত্র জমা নিলেও তাঁকে কোনও রিসিভ্ড কপি দেওয়া হয়নি।
বিজেপির নেতাদের অভিযোগ, দলমোড় চা বাগান এলাকায় পানীয় জল, নদীবাঁধ, খারাপ রাস্তা-সহ বহু সমস্যা রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে দরবার করেও কোনও সুরাহা হয়নি। এই অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় দলের সাংসদ ও বিধায়ক স্থানীয় নেতাদের নিয়ে সেখানকার মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনতে ওই চা বাগানের বাঁশবাড়ি লাইনে গিয়েছিলেন। সাংসদের অভিযোগ, “সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সময় আচমকাই কিছু দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা যাতে এলাকা ছেড়ে চলে যাই সেজন্য শূন্যে এক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে তারা। কোনওরকমে এলাকা ছেড়ে প্রাণে বাঁচতে হয়।” বিধায়কের অভিযোগ, হামলাকারীরা প্রত্যেকেই তৃণমূল-আশ্রিত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বীরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ক। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাও। কিন্তু সাংসদের অভিযোগ, অভিযোগপত্র জমা নিতেই পুলিশ অনেকক্ষণ টালবাহানা করে। শেষপর্যন্ত অভিযোগপত্র জমা নিলেও তাঁকে রিসিভ্ড কপি দেওয়া হয়নি। এমনকি, তদন্ত না করে এ বিষয়ে কোনও মামলা রুজু করা হবে না বলেও না কি থানার পুলিশকর্তারা তাঁকে জানিয়ে দেন বলে অভিযোগ সাংসদের। যদিও বিষয়টি নিয়ে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি। এসএমএসেরও উত্তর দেননি তিনি।
তবে এই ঘটনা ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল তাদের ভয় পাচ্ছে। সেজন্যই তাদের জনপ্রতিনিধিরা যেখানেই মানুষের সাহায্যে যাচ্ছেন, সেখানে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী অবশ্য পাল্টা বলেন, ‘‘একজন জনপ্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনা কোনও অবস্থাতেই সমর্থন করি না। কিন্তু মানুষের কাছে বিজেপি নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা কোথায় পৌঁছেছে, তা এই ঘটনাই প্রমাণ করে।’’