এই নদীবাঁধ ঘিরেই অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
এক দিকে যখন ভুটান পাহাড় এবং ডুয়ার্সে ভারী বর্ষণের জেরে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ডুয়ার্স জুড়ে। ঠিক সেই সময় গয়েরকাটা চা বাগানের বিঘা লাইনে আংরাভাসা নদীর ওপর নিয়মবহির্ভূত ভাবে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ তুললেন এলাকাবাসীরা।
শনিবার ভোরে বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে বানারহাট, বিন্নাগুড়ি,তেলিপাড়া চা বাগান-সহ গয়েরকাটা জ্যোতির্ময় পল্লি। ভাঙন শুরু হয়েছে একাধিক নদীতে। আর সেই ভাঙনে রাতের ঘুম উড়েছে গয়েরকাটা চা বাগানের বিঘা লাইন এলাকার বাসিন্দাদের। সেই ভাঙনরোধে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। শুরু হয়েছে বাঁধ তৈরির কাজও। তবে অভিযোগ, নিয়মবহির্ভূত ভাবে তৈরি করা হচ্ছে সেই বাঁধ। যেখানে বাঁধ তৈরির জন্য একটি নির্দিষ্ট আকারের পাথর ব্যাবহার করার কথা সেখানে তার তুলনায় ছোট আকারের পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁধ তৈরির জন্য মূলত কুড়ি থেকে পঞ্চাশ কিলো ওজনের পাথর ব্যবহার করার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তার থেকে ছোট আকারে পাথর বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। যা এই খরস্রোতা নদীতে স্রোতে ধুয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই কারণে এক দিকে যেমন আতঙ্কিত এলাকাবাসী। তেমনই সরকারি টাকার সঠিক ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের।
ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সীমা চৌধুরী বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়েছি। আধিকারিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।” এ বিষয়ে সেচ দফতরের উত্তরবঙ্গের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার শুভঙ্কর চক্রবর্তী( নর্থ-ইস্ট) বলেন, “বাঁধ তৈরিতে যদি নিয়ম মানা না হয় তা হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং সেই সংস্থা বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া আছে।” যদিও এ বিষয়ে ঠিকাদার সংস্থার কোন রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।