Alipurduar Magistrate

লাঠি হাতে নেশার ঠেক ভাঙলেন মহকুমাশাসক

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই অভিযানে নেশার ঠেক ভাঙতে নিজের নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে এলাকার একাধিক জায়গায় লাঠি উঁচিয়ে যান মহকুমাশাসক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:৫১
Share:

লাঠি হাতে মহকুমাশাসক। সোমবার আলিপুরদুয়ারে। নিজস্ব চিত্র।

জেলার ৯৬টি দলকে নিয়ে ভলিবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল আলিপুরদুয়ার পুলিশ। শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে সোমবার দুপুরে ছিল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা। ফলে, বেলার দিক থেকেই ওই খেলার আয়োজন ঘিরে কিছুটা হলেও ব্যস্ত ছিলেন পুলিশকর্মীদের একাংশ। আর এরই মধ্যে মহকুমাশাসকের (আলিপুরদুয়ার) একটি পদক্ষেপ নজর কাড়ল শহরবাসীর। ‘শুখা নেশার জাল’ ভাঙতে নিজের নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গী করে রীতি মতো লাঠি হাতে ময়দানে নেমে পড়লেন তিনি। যে অভিযানে কিছুটা হলেও সাফল্য পেতে দেখা গেল তাঁকে। কালজানি নদীর তীরে লাঠি উঁচিয়ে নেশার ঠেক ভাঙতে মহকুমাশাসককে শুধু ছুটতেই দেখা গেল না, একটি বাড়ির ভিতরে ফুল গাছের মাঝে লুকিয়ে বোনা গাঁজার গাছও উপরে ফেললেন তিনি।

Advertisement

কিন্তু পুলিশ থাকতে মহকুমাশাসককে কেন এমন পদক্ষেপ করতে হচ্ছে? মহকুমাশাসক বিপ্লব সরকার অবশ্য বলেন, “পুলিশ ভাল কাজ করছে। কিন্তু নেশার ঠেক নিয়ে আমার দফতরেও কিছু অভিযোগ আসছিল। সে অনুযায়ী এ দিন দুপুরে শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নদীর চর এলাকায় সরেজমিন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যাই। নদীর চরে নেশার ঠেক বসে বলে এলাকাবাসী সরাসরি আমাকে অভিযোগ জানান। তার পরেই আমার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে সেখানে অভিযান চালাই।”

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই অভিযানে নেশার ঠেক ভাঙতে নিজের নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে এলাকার একাধিক জায়গায় লাঠি উঁচিয়ে যান মহকুমাশাসক। এলাকার একটি বাড়িতে মদের আসর বসে বলে অভিযোগ পেয়ে সে বাড়িতে হানা দেন তিনি। একটি ঘরের তালা ভেঙে তল্লাশি চালানো হয়। অন্য একটি বাড়িতে ফুলগাছের ফাঁকে তল্লাশি চালিয়ে গাঁজার গাছের হদিস মেলে বলেও অভিযোগ। মহকুমাশাসক বলেন, “এলাকায় যাদের বিরুদ্ধে নেশার কারবার চালানোর অভিযোগ উঠেছে, তাদের সকলকেই সতর্ক করা হয়েছে।”

Advertisement

আলিপুরদুয়ার শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, এই শহরে প্রকাশ্যে নেশার আসর বসানোর ঘটনা নতুন নয়। শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে জেলা পুলিশের তরফে এ দিন ভলিবল প্রতিযোগিতার যে ফাইনাল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল, প্রশাসন ও পুলিশের জেলা দফতরের একেবারে পাশে বা থানার একেবারে উল্টো দিকে সে মাঠ হলেও, সেখানে বার বার দিন-রাতে নেশার ঠেক বসানোর অভিযোগ ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দিতে চাননি। তবে জেলার পুলিশকর্তাদের একাংশ জানিয়েছেন, মাদক বা নেশার কারবার রুখতেই এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন। তা ছাড়া প্যারেড গ্রাউন্ড-সহ শহরের আশপাশ দিয়ে বয়ে চলা সব নদীর চরেই এ ধরণের আসরের বিরুদ্ধে নজর রাখে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement