প্রতীকী চিত্র।
করোনা পরিস্থিতির জেরে রোজগার হারানো তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরিতে উদ্যোগী হল আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে আলিপুরদুয়ার শহরে বসবাসকারী যৌনকর্মীদের একটা বড় অংশের রেশন কার্ড তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, দু’টি ক্ষেত্রেই নামের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। রেশন কার্ড তৈরি না হয়ে আসা পর্যন্ত তাঁরা ফুড কুপনের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী পাবেন বলে জানিয়েছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির জেরে সকলের মতো সমস্যায় পড়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের রেশন কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো আলিপুরদুয়ারেও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের দ্রুত রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনকে নির্দেশ পাঠায় রাজ্য। সেই অনুযায়ী ময়দানে নামেন প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ার শহর ছাড়াও আলিপুরদুয়ার ১ ও ২ ব্লকে তৃতীয় লিঙ্গের বেশ কিছু মানুষ বাস করেন। যাঁদের বেশিরভাগেরই রেশনকার্ড নেই। ফলে করোনা পরিস্থিতিতে রোজগারে টান পড়লেও, রেশন দোকানের সরকারি খাদ্যসামগ্রী থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। খাদ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, তৃতীয় লিঙ্গের ওই মানুষদের যাঁদের রেশন কার্ড নেই, তাঁদের নামের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁদের রেশন কার্ড তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আলিপুরদুয়ারে বাস করা যৌনকর্মীদের একটা বড় অংশকেও রেশন কার্ড দিতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ার শহরের সমাজপাড়া এলাকায় অনেক যৌনকর্মীথাকেন, যাঁদের অনেকের রেশন কার্ড নেই। রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্যে খাদ্য দফতরের কর্তারা তাঁদের নামের তালিকাও তৈরি করেছেন।
আলিপুরদুয়ারের খাদ্য নিয়ামক প্রেসিকা মোকতান বলেন, “দু’টি ক্ষেত্রেই যাঁদের রেশন কার্ড নেই, তাঁদের সেই কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ডাক যোগে প্রত্যেকে রেশন কার্ড পেয়ে যাবেন। তার আগে তাদেরকে ফুড কুপন দেওয়া হবে। সেই কুপনের মাধ্যমেই তাঁরা রেশনদোকান থেকে খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন।’’