অবস্থান বিক্ষোভে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপকরা। নিজস্ব চিত্র।
ফের অতিথি অধ্যাপকদের আন্দোলন শুরু হল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ‘স্যাক্ট’-এর আওতায় নিয়ে আসার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের রিলে অনশনে বসেছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরের সামনে এই আন্দোলন শুরু করায় সামান্য হলেও বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই অবস্থান বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অতিথি অধ্যাপকদের দাবি দাওয়া সম্বলিত কাগজপত্র বিকাশ ভবনে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার।
২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে ২০২১-এর ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিনরাত অবস্থান বিক্ষোভে বসেন ২৪ জন অতিথি অধ্যাপক। তাঁদের দাবি ছিল, অতিথি অধ্যাপকদের ‘স্যাক্ট’-এর আওতায় আনতে হবে। লাগাতার ১৮ দিন ওই আন্দোলন চলার পর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে উঠে যায় অবস্থান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অতিথি অধ্যাপকদের আশ্বাস দেন, তাঁদের দাবি-দাওয়া সম্বলিত কাগজপত্র বিকাশভবনে পাঠানো হবে। অনুমোদন মিলতেই ওই অতিথি অধ্যাপকদের ‘স্যাক্ট’-এর আওতায় আনা হবে। কিন্তু দীর্ঘ দিন পার হলেও অতিথি অধ্যাপকরা স্যাক্টের আওতায় আসার কোনও খবর না পাওয়ায় সোমবার থেকে ফের রিলে অনশনের আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁদের বিষয়ে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা না হওয়ায় ফের আন্দোলন শুরু করা হয়েছে। যা অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘‘অতিথি অধ্যাপকদের বিষয় নিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিকাশ ভবনে পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনেই অতিথি অধ্যাপকদের বিষয়টি দেখছে্ন। নতুন করে আন্দোলন শুরু করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম চালু রাখতে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি অতিথি অধ্যাপকদের ভেবে দেখা উচিত।’’