প্রতীকী ছবি।
নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হতেই কড়া আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। ভোটার বা প্রার্থীদের ভয় দেখানো রুখতে জেলায় গঠন করা হল ‘ফ্লাইং স্কোয়াড’। টাকা দিয়ে ভোটে প্রভাবিত করার চেষ্টা রুখতে এই স্কোয়াড কাজ করবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, ভোটার বা প্রার্থীদের ভয় দেখানো বা ভোটে কেউ প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী তাঁর জেল, জরিমানা বা দুই-ই হতে পারে। শুক্রবার বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রচার শুরু করে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন।
যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, প্রতি নির্বাচনেই দেখা যায় কমিশন এ ধরণের নিয়মের কথা বলে। সেই অনুযায়ী কমিশনের নজরে নিজেদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে প্রশাসনের তরফেও ব্যাপক হারে সেই প্রচার চালানো হয়। কিন্তু প্রয়োজনের সময় অনেক জায়গাতেই নিয়মগুলি শুধুমাত্র খাতাকলমেই থেকে যায়। অনেক কিছুই প্রশাসনের কর্তাদের নজর এড়িয়ে যায়। যদিও আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘এমন অভিযোগ ঠিক নয়।’’
আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন ভোটে প্রভাবিত করতে টাকা লেনদেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তেমনই প্রার্থী বা ভোটারকে ভয় দেখানোর ক্ষেত্রেও একই বিধান রয়েছে। সে জন্যই প্রশাসনের তরফে ‘ফ্লাইং স্কোয়াড’ গঠন করা হয়েছে। স্কোয়াডের সদস্যরা জেলা জুড়ে বিষয়টিতে কড়া নজরদারি চালাবেন। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষের কারও যদি এমন ঘটনা নজরে পড়লে তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের অভিযোগ কেন্দ্রে যোগাযোগ করেতে পারেন। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ বলেন, “নির্বাচন কমিশন বা জেলা প্রশাসনের এই পদক্ষেপ খুবই ভাল। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা যথেষ্ট খারাপ। এর আগেও বিভিন্ন নির্বাচনে বিষয়গুলি নিয়ে বারবার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু লাভ হয়নি। আমরা চাই প্রশাসন অতিসক্রিয় না হয়ে সক্রিয় হোক।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী পাল্টা বলেন, “আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রশাসন যথেষ্টই সক্রিয়। কিন্তু ভোট আসলে দেখা যায় বিজেপিই এই নিয়মগুলি ভঙ্গ করে। আমরা চাই বিজেপির নেতারাও এ বারের নির্বাচনে যাতে নিয়মগুলি মেনে চলেন।”