West Bengal Assembly Election 2021

ভোট ঘোষণা হতেই তুঙ্গে প্রস্তুতি

শুক্রবার রাত থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত সরকারি অফিস ভবন থেকে রাজনৈতিক দলের ব্যানার, ফেস্টুন খুলে ফেলা শুরু হল।

Advertisement

মেহেদি হেদায়েতুল্লা, গৌর আচার্য

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৩৩
Share:

কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চে উত্তর দিনাজপুর টের পাওয়া যাচ্ছিল ভোটের আগমনি। শুক্রবার ভোট ঘোষণার পরে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি প্রশাসনিক স্তরেও প্রস্তুতি তুঙ্গে।

Advertisement

শুক্রবার রাত থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত সরকারি অফিস ভবন থেকে রাজনৈতিক দলের ব্যানার, ফেস্টুন খুলে ফেলা শুরু হল। জেলা নির্বাচনের এক আধিকারিক বলেন, "কমিশনের গাইডলাইন মেনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাস্তাঘাট, মাঠ ময়দান সহ নিজস্ব জমি সম্পত্তি বাদ দিয়ে সমস্ত জায়গা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যানার ফেস্টুন খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে কোনও প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে না। যাতে কোনও ভাবেই সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত না করতে পারেন রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা সেই বিষয়ে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরা সরকারি গাড়ি কত ক্ষণ ব্যবহার করতে পারবেন, সেই বিষয়ে স্পষ্ট জানানো হয়েছে।"

ভোট ঘোষণা হতেই কোথাও মাঠে নেমে পড়েছেন কর্মীরা। কোথাও ঢিমে তালে চলছে তাঁদের প্রস্তুতি। তৃণমূলের দাবি, দেওয়াল লিখন, মিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলে প্রচার আরও গতি পাবে। বিজেপির দাবি, নির্বাচন ঘোষণা হতেই দলের কর্মীরা বুথস্তরে প্রচার শুরু করেছেন।

Advertisement

গোয়ালপোখর, রায়গঞ্জ, ইসলামপুরের নানা এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রেখে দেওয়াল লিখন শুরু করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। কর্মীদের অনেকেই দাবি করেন, প্রচারের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া গিয়েছে। দলীয় পতাকা, ব্যানার এলাকায় টাঙাতে বেরিয়েও পড়েন অনেকে।

পিছিয়ে নেই বিজেপিও। শনিবার করণদিঘিতে দেওয়াল লিখন শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।

জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, "আমরা পুরোপুরি তৈরি।"

মানুষ যতে নিশ্চিন্তে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন তার জন্য অনেক আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে। প্রতিটি বুথে সিসি ক্যামেরা থাকবে, স্পর্শকাতর, অতিস্পর্শকাতর বুথগুলিতেও অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কমিশনের কর্তারা।

এ দিকে প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই তৃণমূলের চোপড়ার প্রার্থী হামিদুল রহমানের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু হয়েছে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন হামিদুল। তিনি বলেন, "কারা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করছে তা আমার জানা নেই।"

তবে এই তোড়জোড় চোখে পড়েনি জেলার সিপিএম পার্টি অফিসে। কার্যত নিস্তব্ধতার মধ্যেই দলের নেতৃত্বস্থানীয় কয়েক জন ব্রিগেডের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তার ফাঁকে দু’এক জনকে বলতে শোনা যায়, "দলের শাখা সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক দ্রুত সেরে ফেলতে হবে। সমন্বয় রয়েছে, আরও জোর দিতে হবে।" জেলা সিপিএম সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, "ব্রিগেড থেকে ফিরেই নির্বাচনী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ব।"

জেলা কংগ্রেস কার্যকারী সভাপতি পবিত্র চন্দ বলেন, "আমরা লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কমিশনের কাছে দাবি, মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হবে, দাগিদের জেলের ভিতরে রাখতে হবে।"

জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, "মানুষ ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় আনবেন। নেতা-কর্মীদের পুরোদমে নেমে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement