Heritage Site

রাজবাড়ির ‘সম্পত্তি’ সমীক্ষা আগামী সপ্তাহে

সম্প্রতি হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চে রাজবংশের উত্রাধিকার দাবি করে এক পক্ষ মামলা দায়ের করে হেরিটেজ সম্পত্তির উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষমের আর্জি জানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৩৭
Share:

ঐতিহ্য: বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির অনেক সম্পত্তি ‘হেরিটেজ’ তালিকাভুক্ত হতে চলেছে। নিজস্ব চিত্র।

হাই কোর্টের নির্দেশের পরে আগামী সপ্তাহেই জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির ‘হেরিটেজ’ অংশের সমীক্ষা করতে চলেছে প্রশাসন। সমীক্ষায় উপস্থিত থাকবেন রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের সচিবও।

Advertisement

বুধবার জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দফতরে এই সমীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা, জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো, জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল, ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়-সহ পুর আধিকারিকেরা বৈঠকে ছিলেন। রাজবাড়ির কোন অংশটুকু ‘হেরিটেজ’ তা নির্ধারণ করা হবে সমীক্ষায়। যদিও কমিশন সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি রাজবাড়িকে ‘হেরিটেজ’ ঘোষণার কোনও গেজেট বিজ্ঞপ্তি এখনও প্রকাশ হয়নি। যদিও কমিশন সূত্রের খবর, ২০০৭ সালে রাজবাড়ি পরিদর্শন হয়েছিল এবং তারপরে রাজবাড়ি ভবনকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়। কমিশনের ওয়েবসাইটেও হেরিটেজ তালিকায় জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুরের রাজবাড়ির ছবি রয়েছে।

সম্প্রতি হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চে রাজবংশের উত্রাধিকার দাবি করে এক পক্ষ মামলা দায়ের করে হেরিটেজ সম্পত্তির উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষমের আর্জি জানায়। সেই মামলায় হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ৬ সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসন-পুরসভা যৌথ ভাবে সমীক্ষা করে হেরিটেজ চত্বরের সীমানা নির্ধারণ করবে। এ দিনের বৈঠকে রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের সচিবও ভার্চুয়াল মাধ্য়মে ছিলেন। আগামী সপ্তাহের সমীক্ষায় তিনিও থাকবেন। সেদিন মামলাকারী এবং রাজবাড়ির বর্তমান উত্তরাধিকারীদের ডাকা হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, “হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে কাজ করা হচ্ছে। সমীক্ষা করে প্রথমে হেরিটেজ সম্পত্তি নির্ধারণ করা হবে।”

Advertisement

জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ি ভবন, পুকুর, রাস্তা, মন্দির হেরিটেজের তালিকায় রয়েছে বলে দাবি। রাজপরিবারের দুর্গাপুজোর বয়স পাঁচশো পেরিয়েছে। হেরিটেজের সীমানা নির্ধারণের পরে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। হেরিটেজ নির্ধারণের পরে সেই চত্বরে কোনও বিধিনিষেধ জারি হবে কিনা তাও জানাবে কমিশন। আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই সমীক্ষার কাজ সেরে ফেলতে চাইছে প্রশাসন। জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপারকে নিয়ে সমীক্ষার কমিটিও গডে দিয়েছে হাইকোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement