সমবেত: আবাস যোজনার আবেদন পত্র হাতে কালিয়াচকের তেঁতুলতলা গ্রামের মহিলারা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
আবাস নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ মালদহে চলছেই। এ বার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আবাসে ‘কাটমানি’ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন কালিয়াচক ১ ব্লকের তেঁতুলতলা গ্রামের ১৭ জন উপভোক্তা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য রিনা সাহা। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কালিয়াচক ১ ব্লকের বিডিও সেলিম হাবিব সর্দার।
তিনি বলেন, “আবাসের তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে বলে কয়েকজন মানুষ অভিযোগ করেছেন। সে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ‘কাটমানি’ চাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, আবাসের তদন্তে অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে মালদহে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, মালদহের আবাস তালিকায় বিহারের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের নামও মিলেছে। আবাস নিয়ে জেলায় দু’-দফায় দু’বার কেন্দ্রীয় দল তদন্তও করে গিয়েছে। তার পরেও আবাস নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ জেলায় থামার কোনও নাম নেই।
কালিয়াচক ১ ব্লকের কালিয়াচক ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলতলা গ্রামে ১৭ জন উপভোক্তার নাম আবাসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য রিনা সাহা ও তাঁর স্বামী তরুণ সাহা আবাসের সুবিধে দিতে উপভোক্তা পিছু ১৮ হাজার টাকা করে ‘কাটমানি’ চান। সে টাকা দিতে না পারায় প্রকল্প থেকে তাঁদের নাম বাদ গিয়েছে, দাবি একদল উপভোক্তাদের।
তেঁতুলতলা গ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি মণ্ডল বলেন, “চাটাইয়ের উপরে টালির ছাউনি দেওয়া ঘরে বাস করছি। সমীক্ষায় প্রশাসনের কর্মীরা আমাদের বাড়িও দেখে গিয়েছেন। তার পরেও আমাদের নাম ঘরের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী আমাদের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। সে টাকা না দেওয়ায় আমাদের নাম নেই।” অপর এক উপভোক্তা তাসলিমা বিবি বলেন, “ঘরের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে পঞ্চায়েত সদস্যকে ১৮ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানায় আমাদের। কোথায় আমরা টাকা পাব?’’
অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত সদস্য রিনা সাহা বলেন, “টাকা চাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। ঘরের তালিকা থেকে নাম বাতিলে আমাদের কোনও হাত নেই। কারণ, প্রশাসনই সমীক্ষা করে তা বাতিল করছে।”