করলা নদীতে গতি আনতে তিস্তা থেকে জল চাইল প্রশাসন। গত বুধবার জলপাইগুড়ি সদর মহকুমাশাসকের দফতর থেকে সেচ দফতরে তিস্তার জল চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। তিস্তা থেকে জল এনে করলা নদী দিয়ে বইয়ে দেওয়া যায়। সেই পরিকাঠামো রয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল বইয়ে দেওয়া যায় করলা নদী খাতে। আগে বারকয়েক এমন করাও হয়েছে বলে সেচ দফতরের দাবি। যদিও জল ছাড়ার সিদ্ধান্তের আগে একাধিক দিক খতিয়ে দেখতে হয় বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর।
জেলা প্রশাসনের দাবি, এ বারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়ায় জলপাইগুড়ি শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া করলা নদী শুকিয়ে গিয়েছে। গোটা নদী ঢেকেছে কচুরিপানায়। পরিষ্কার করলেও আবার জন্মে যাচ্ছে। একমাত্র জলের গতি ছাড়া করলাকে কচুরিপানা মুক্ত করা সম্ভব নয় বলেই দাবি। সে কারণেই জল চাওয়া হয়েছে তিস্তা থেকে।
সেচ দফতরের মুখ্য বাস্তুকার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, “বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। প্রস্তাবটি সম্ভব কিনা দেখতে হবে। তিস্তা সেচের সঙ্গে কথা বলব।” জলপাইগুড়ির সদর মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “সেচ দফতরের মুখ্য বাস্তুকারের কাছে আবেদন করা হয়েছি। করলা নদীতে এখন একটু জল প্রয়োজন। করলা নদীর উৎসের দিকে তিস্তা ব্যারেজের কিছু জলাধার রয়েছে সেখান থেকে জল ছাড়া সম্ভব। সেচ দফতর ভাবনা চিন্তা করছে।”
২০১১ সালের নভেম্বর মাসে করলা নদীতে রাশি রাশি মাছের মড়ক হয়েছিল। করলা নদীর জলে বিষ কীটনাশক অতিরিক্ত পরিমানে মিশে যাওয়াতেই মাছের মড়ক হয়েছিল। সে সময়ে নদীর জলে দূষণ বেড়ে যায়। নদীকে দূষণমুক্ত করতে করলা নদীতে জল ছাড়া হয়েছিল তিস্তা থেকে। সম্প্রতি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রকাশিত রিপোর্টে করলায় দূষণের মাত্রা যথেষ্ট বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। নদীর জলে প্রবাহ না থাকলে দূষণ বাড়বেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা।