কথা: অসুস্থ শিশুর পরিজনেরা।
জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শিশু বিভাগে একই শয্যায় গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে শিশু ও মায়েদের। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে হাসপাতালে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের জন্য ক্লিনিক খোলা হচ্ছে। ‘হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট’-এ চারটি ভেন্টিলেটর আনা হয়েছে।
জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে জলপাইগুড়ি জেলার সব সরকারি হাসপাতালেই। ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা পেয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতর জেলার সব ব্লকে সতর্কতা জারি করেছে। শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের জন্য ক্লিনিক খোলার ব্যবস্থাও হচ্ছে বলে জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার। মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের জন্য আনা চারটি ভেন্টিলেটর ‘হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে লাগানো হয়েছে বলে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপাল কল্যাণ খান জানিয়েছেন। হাসপাতালে ‘সিক নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’ থাকলেও এখনও পর্যন্ত ‘নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’ এবং ‘পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’ চালু হয়নি। ফলে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা শিশুদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এ প্রসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার বলেন, ‘‘দ্রুত এই দুই ইউনিট চালু করারচেষ্টা চলছে।’’
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ২১ জন ভর্তি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এদের মধ্যে এক জন ‘সিক নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’-এ ভর্তি। হাসপাতালের সুপার বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত কোনও শিশুকেই ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়নি। অক্সিজেনও লাগছে না চিকিৎসাধীনদের। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে সতর্কতা মেনে চলতে হবে। জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া, অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত নয়। মাস্ক ব্যবহারও জরুরি।’’