বিজেপির সঙ্গে বিতর্কের আহ্বান জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপির সঙ্গে বিতর্কের আহ্বান জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার, মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরের সভায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ‘জনমুখী’ প্রকল্পে মালদহে কত জন সুবিধা পেয়েছেন তার তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এর পরেই উন্নয়ন নিয়ে বিজেপিকে ‘চ্যালেঞ্জ’ করে বলেন, ‘‘ওঁরা মঞ্চ ঠিক করুন। এক দিন আগে আমাকে জানালেই, আমি মালদহে সে মঞ্চে হাজির হব। ইচ্ছে মতো যে কোনও নেতাকেই রাখতে পারে বিজেপি।’’ সভায় উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু জেলাকে তাঁর ‘পৈতৃক সম্পত্তি’ ভাবেন বলেও অভিষেক তোপ দাগেন।
সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘খোলা মঞ্চ তো অনেক দূরের কথা। শাসক দল তো সরকারি অনুষ্ঠানেই বিরোধীদের ডাকতে ভয় পায়। ডাকলে নেড়া হয়ে যেতে হবে, ওরা তা জানে। একটা মাদল দেওয়া আর একটু নেচে নেওয়াকে, উন্নয়ন বলে না। আর ওঁরাই তো রাজ্যটাকে পৈতৃক সম্পত্তি বলে ভাবেন।’’
বুধবার রাতে চাঁচলে ছিলেন অভিষেক। বৃহস্পতিবার, রতুয়ার বাহারালে রোড-শো করে সেখান থেকে এনায়েতপুরে যান তিনি। সভায় অভিষেক দাবি করেন, মালদহে আট লক্ষ ৩৪ হাজার মহিলা লক্ষ্ণীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা পাচ্ছেন। ৩৫ লক্ষ ১৭ হাজার পড়ুয়া ‘ঐক্যশ্রীর’ ভাতা পেয়েছে। হাতে থাকা মোবাইল থেকে একের পর-এক প্রকল্পে জেলায় কত জন উপকৃত হয়েছেন, সে তথ্য তুলে নিশানা করেন বিজেপিকে। খোলা মঞ্চে বিজেপি নেতাদের হাজির হওয়ার জন্য অভিষেক বলেন, ‘‘এক দিকে আমি দাঁড়াব, আমাদের রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরব মানুষের কাছে। চ্যালেঞ্জ করছি, ওরা মাঠে দাঁড়াতে পারবে না।’’
এ দিন সন্ধের দিকে, ইংরেজবাজারের সুস্থানি মোড়ে তৃণমূলের ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে ভোট গ্রহণকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় বলে দল সূত্রের দাবি। দলের কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ, দলেরই বুথ সভাপতিকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ দিন সন্ধেয় এমনই অভিযোগ তুলে সরব হন কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মন্টু ইসলাম। তিনি বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতি প্রতিভা সিংহ পরিকল্পনা করে বুথ সভাপতির নাম বাদ দিয়েছেন।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্লক সভাপতি প্রতিভা সিংহ। কাজিগ্রামের মতো যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট নিয়েও দলের কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান।