তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারে তৃণমূলের ‘নবজোয়ার কর্মসূচি’র মধ্যেই পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত ধর্মনারায়ণ বর্মার সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাক্ষাতের পর অভিষেক জানান, ধর্মনারায়ণের কাছে আশীর্বাদ নিতে এসেছিলেন তিনি। তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি নিয়েও তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে।
বুধবার তুফানগঞ্জের চিলখানায় জনসভা শেষে বারকোদালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুর গ্রামে ধর্মনারায়ণের বাড়িতে যান অভিষেক। পরে তিনি বলেন, ‘‘সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। আশীর্বাদ নিতে এসেছিলাম। উনি অসুস্থ। আমি বলেছি, প্রয়োজনে কলকাতা থেকে ডাক্তার পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করব।’’ অভিষেক জানান, দলের নতুন কর্মসূচির কথা ধর্মনারায়ণকে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘উনি খুশি হয়েছে। বলেছেন, এটা বাস্তবায়িত হলে খুব ভাল হবে।’’
কামতাপুরী সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণার জন্য ২০২১ সালে পদ্মশ্রী পান ধর্মনারায়ণ। প্রাক্তন শিক্ষক ধর্মনারায়ণ কামতাপুরি ভাষায় ১৭টির বেশি বই লিখেছেন। পারিবার সূত্রে খবর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান ধর্মনারায়ণ। পড়াশোনা করতেন হার্ডিঞ্জ হস্টেলে থেকে। চাকরি জীবনের শুরুতে কলকাতা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে (মেন) সহকারী শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু মায়ের চিকিৎসার কারণে তুফানগঞ্জে ফিরে এনএনএম হাই স্কুলে চাকরি নেন। তুফানগঞ্জে এসেই কামতাপুরি ভাষায় গবেষণা শুরু করেন ধর্মনারায়ণ। ভাষা গবেষণায় তার পরিচিতি বাড়তে থাকে। একধারে গবেষক এবং লেখক হিসাবে যথেষ্ট সুনামও অর্জন করেন। তার লেখা বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘কামতাপুরি ভাষা সাহিত্যের রূপরেখা’, ‘মহাবীর চিলারায়’, ‘মহারাজা নরনারায়ণ’, ‘এ স্টেপ টু কামতা বিহারি ল্যাঙ্গুয়েজ’, ‘কামতা বিহারি ভাষার ব্যাকরণ’।