—প্রতীকী চিত্র।
দুই পুলিশকর্মীকে মারধর করে এক তরুণীকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে। খবর পেয়ে বিরাট বাহিনী নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানা এলাকার বছর উনিশের ওই তরুণীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পরিবারের তরফে থানায় দেড় মাস আগে অভিযোগ করা হয়েছিল। বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অপহরণের মামলা করে। এ দিন সকালে ওই তরুণী তাঁর ‘স্বামী’কে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করে জানান, তিনি অপহৃত হননি। তবে বাড়িতে না-জানিয়ে পরিবারের সদস্যদের অমতে বিয়ে করেছেন। এর পরে আদালতে তোলার আগে, তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, সেই সময় চারটে ছোট গাড়িতে করে ২০-২২ জন দুষ্কৃতী এসে ওই তরুণীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বাধা পেয়ে দুই পুলিশকর্মীকে তারা মারধর করে বলে অভিযোগ। আহত এক পুলিশ কর্মী ও সিভিক কর্মীকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়।
মাত্র দিন দুয়েক আগেই ওই হাসপাতালের একটি ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধ নিখোঁজ হন। প্রতিবাদে, উত্তেজিত আদিবাসীরা হাসপাতালে ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখান। ওই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ দিন ফের ওই হাসপাতাল চত্বরে পুলিশের গাড়িতে চড়াও হয়ে তরুণীকে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিপাকে পুলিশ। হাসপাতালে অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীদের ভূমিকাও নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগ বলেন, ‘‘ডাক্তারি পরীক্ষার পরে তরুণীকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। সে সময় দুষ্কৃতীরা তাকে ছিনতাই করে নিয়ে যায়।’’ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে তিনি জানান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডেপুটি পুলিশ সুপার বিক্রম প্রসাদ বলেন, ‘‘তরুণীকে উদ্ধারে জেলা জুড়ে নাকা-চেকিং চলছে। হাসপাতাল ও রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’