৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কুমারগ্রাম থানা। নিজস্ব চিত্র
সালিশি সভা ডেকে, চরিত্রহীন অপবাদ দিয়ে বধূকে নগ্ন করে মারধরের অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের চ্যাঙমারিতে। বিচারের নামে এক এক আদিবাসী মহিলাকে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে বার করে তাঁর উপর চালানো হয় অত্যাচার। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ওই মহিলা। ওই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই মহিলা। তার জেরে মাস ছয়েক আগে ঘর ছাড়েন তিনি। গত বৃহস্পতিবার তিনি চ্যাঙমারিতে তাঁর স্বামীর কাছে ফিরে আসেন। ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগ, তিনি বিষয়টি মেনে নিলেও এলাকার কয়েক জন এ নিয়ে ‘মাতব্বরি’ শুরু করেন। তারা বিচারের নামে বৃহস্পতিবার রাতেই ওই মহিলাকে ঘর থেকে টেনে বার করে নগ্ন করে মারধর করেন। গোটা ঘটনার ছবি তারা মোবাইলেও তুলে রাখে।
এর পর গত রবিবার সেই মারধরের ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিয়োতে ওই মহিলাকে মারধরের প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে। তিনি কাকুতিমিনতিও করেন। তবে তাতে রেহাই মেলেনি। ঘটনার পর থেকেই ওই মহিলা নিখোঁজ। আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, ‘‘ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩টি পৃথক দল গঠন করা হয়েছে তদন্তের জন্য। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ ওই কাণ্ডে ধৃতরা হলেন ভবেশ কুজুর, বিপান টপ্পো এবং সুজিত লাকড়া। তারা সকলেই পশ্চিম চ্যাঙমারির বাসিন্দা।
ঘটনার নিন্দা করে কুমারগ্রাম ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ধীরেশচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘সভ্য সমাজে এটা বর্বরতা ছাড়া আর কিছু নয়। দলীয় ভাবে এর তদন্ত করা করা হবে। প্রশাসনকেও অনুরোধ করবো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবার জন্য।’’