—প্রতীকী চিত্র।
‘ডাইনি’ অপবাদে এক বধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হল সেই বধূর।
গত ২৬ জুন শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার পেটকি লাগোয়া এলাকায় এক বধূকে ডাইনি অপবাদে মারধরের অভিযোগ ওঠে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে গাড়িতে তুলে দাদার বাড়িতে দিয়ে আসা হয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলার চিকিৎসা চলছিল। রবিবার ফাঁসিদেওয়া থানার বিধাননগর ‘ইনভেস্টিগেশন সেন্টার’-এ মহিলার দাদা পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ তিন জন মহিলাকে গ্রেফতার করে।
মহিলার পরিবার সূত্রে খবর, তাঁকে মারধরের পাশাপাশি, ধারালো অস্ত্র দিয়েও হামলা করা হয়েছিল। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্ন ছিল। দাদার বাড়িতে দিয়ে যাওয়ার পরেই মহিলা দু’দিন অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন। পরে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানেই বুধবার রাতে তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে।
মৃত মহিলার দাদার দাবি, “বোনের স্বামী মারা যাওয়ার পরে, তাকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে। এর পরে, আমার বাড়িতে দিয়ে চলে যায়। বোনের শরীরের ক্ষতচিহ্ন দেখতে সবটা বুঝতে পারি। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত, যাতে আর এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।” যদিও এই প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।