নদর্মায় পড়ে নিখোঁজ ছ’বছরের শিশু। নিজস্ব চিত্র
খেলতে খেলতে নদর্মায় পড়ে গিয়ে নিখোঁজ ছ’বছরের শিশু। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে লাগাতার তল্লাশি চালানোর পরেও রবিবার রাত পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা যায়নি। মালদহের মানিকচকের চৌকি মির্জাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামপুর চৌকি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। মানিকচক থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শিশুর নাম সিদ্দিকা খাতুন। স্থানীয় শ্যামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে পড়ে সে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরে বাড়ির সামনে কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে খেলছিল সিদ্দিকা। খেলতে খেলতেই হঠাৎ রাস্তার পাশের একটি বড় নর্দমায় পড়ে যায় সে। তার পর থেকে সিদ্দিকার আর কোনও খোঁজ মেলেনি। এক পড়শি জানান, বাকি বাচ্চারা সিদ্দিকার হাত ধরে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নর্দমায় তলিয়ে যায় সে। এই ঘটনার সময় খুদেদের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়েরা ছুটে এসে নর্দমায় নেমে সিদ্দিকাকে খোঁজা শুরু করে দেন। খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি চালানো শুরু পুলিশও। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। শেষমেশ খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। তারাও এসে খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করে। জেসিবি দিয়ে নর্দমাটি ভেঙে দেওয়া হয়। তার পরেও রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত সিদ্দিকার খোঁজ মেলেনি।
শ্যামপুর চৌকি এলাকার মসজিদের পাশেই সিদ্দিকার বাড়ি। তারা তিন ভাইবোন। সিদ্দিকাই সব চেয়ে ছোট। বাবা গিয়াসউদ্দিন মমিন বাড়ির সামনেই ছোট একটি মুদিখানা দোকান চালান। পরিবার সূত্রে খবর, গত সপ্তাহেই মসজিদের সামনের নর্দমার একটি ঢাকনা খোলা হয় সংস্কারকাজের জন্য। সেই ফাঁক দিয়ে গলে গিয়েছে সিদ্দিকা। স্থানীয়দের দাবি, নর্দমার জল গিয়ে পড়ে পাশের বড় জলাশয়ে। যা কচুরিপানায় ভরা। সম্ভবত নর্দমার জলের তোড়ে জলাশয়ে গিয়ে পড়েছে সিদ্দিকা। সেই মতো ওই জলাশয়ে নেমেও তল্লাশি চালান বিপর্যয় মোকাবিলা দলের লোকেরা। তাতেও কোনও লাভ হয়নি।
চৌকি মির্জাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাজিদ মমিন বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। তড়িঘড়ি উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। মানিকচক থানার পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের জওয়ানরাও তল্লাশি চালায়। কিন্তু শিশুটির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।’’