পুরনো কামরায় নতুন রেস্তরাঁ। —নিজস্ব চিত্র।
এত দিন ধরে থমকে দাঁড়িয়েছিল। গতি হারিয়েছিল চাকা। ট্রেনের এমন কামরায় রেস্তরাঁ তৈরি করে চমকে দিলেন রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের উদ্যোগে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে তৈরি হয়েছে ওই কোচ রেস্তরাঁ। যা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। চলন্ত ট্রেনের কামরায় ব্যবস্থা আছে রসনা তৃপ্তির। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ঢোকার মুখেই বাঁ দিকে একটি পুরনো কামরাকে সাজিয়ে ঝকঝকে রেস্তরাঁর রূপ দেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের উদ্যোগে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বরেই তৈরি হয়েছে ওই কোচ-রেস্তরাঁ। শুক্রবার থেকে খুলে গিয়েছে সেই রেস্তরাঁ। এ বার থেকে রেলের সেই থমকে যাওয়া কামরাতেই বসে নানা স্বাদের খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন শহরবাসী এবং পর্যটকেরা।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন মাস ধরে ওই রেস্তরাঁ তৈরির কাজ চলছিল। এর আগে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের কাটিহার স্টেশনে এমন কোচ রেস্তরাঁর বন্দোবস্ত ছিল। এ বার সেই ছবি দেখা যাবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনেও। সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে রেস্তরাঁ। রেলের তরফে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। এর পর বরাত পেয়ে একটি বেসরকারি সংস্থা সেই রেস্তরাঁ চালানোর অনুমতি পেয়েছে। ওই কোচটিকে রং করে সেখানে বাংলার নানা ঐতিহাসিক স্থানের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। শুক্রবার নিউ জলপাইগুড়ি ডিভিশনের এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়ারওয়ার তা উদ্বোধন করেন। পুরো রেস্তরাঁটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সেখানে রয়েছে মডিউলার কিচেন। কোচের ভিতরে যাত্রীরা যাতে স্বচ্ছন্দে বসে খাবার খেতে পারেন করা হয়েছে সেই ব্যবস্থাও।
এ নিয়ে সঞ্জয় বলেন, ‘‘বেশির ভাগ পর্যটক নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে আসার পর আশপাশে ভাল রেস্তরাঁর খোঁজ করেন মনপসন্দ খাবারের জন্য। বসে খাওয়া হোক বা নিয়েই যাওয়ায় হোক, দু’ধরনেরই সুবিধা থাকবে এই কোচ রেস্তরাঁয়। নিরামিষ এবং আমিষ সব ধরনের খাবার পাওয়া যাবে।’’