Mysterious Death

নিখোঁজ-তদন্তে ডাকা যুবকের দেহ থানায়

মাদারিহাটের উত্তর শিশুবাড়িতে বাড়ির সামনে থেকে শনিবার নিখোঁজ হন আসলাম। পুলিশের দাবি, তাঁর মোবাইলের ‘টাওয়ার লোকেশন’ শিলিগুড়িতে মিলেছিল। রাহুলের সঙ্গে কয়েক বার কথাও হয় তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার ও মাদারিহাট শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:২১
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

এক নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পেতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েক জন যুবককে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল থানায়। জিজ্ঞাসাবাদের পরে রাতে তাঁরা সকলেই ছিলেন আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট থানার ঘরে। বুধবার সকালে সেই ঘর লাগোয়া শৌচাগার থেকে মিলল তাঁদেরই এক জন, রাহুল রায় (২০) নামে এক যুবকের দেহ। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ির আমবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা। তবে কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন, তা রাত পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি। যদিও যে যুবকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় রাহুলকে থানায় ডাকা হয়েছিল, সেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী আসলাম খানের খোঁজ মিলেছে।

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “এক জন বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার তদন্ত করছেন। দেহের সুরতহাল করেছেন এক জন এগজ়িকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। বৃহস্পতিবার কোচবিহার মেডিক্যালের মর্গে দেহের ময়না তদন্ত হবে। সে জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গড়তে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।” ময়না তদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে বলে জানান এসপি। তাঁর সংযোজন, ‘‘এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্তও হচ্ছে।’’

মাদারিহাটের উত্তর শিশুবাড়িতে বাড়ির সামনে থেকে শনিবার নিখোঁজ হন আসলাম। পুলিশের দাবি, তাঁর মোবাইলের ‘টাওয়ার লোকেশন’ শিলিগুড়িতে মিলেছিল। রাহুলের সঙ্গে কয়েক বার কথাও হয় তাঁর। সে সূত্রেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখন ফালাকাটায় ছিলেন রাহুল। সঙ্গে আরও তিন জন ছিলেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় রাহুল জানান, শিলিগুড়িতে দেখা হলেও, পরে আসলাম কোথায় গিয়েছেন তা তিনি জানেন না। পুলিশের দাবি, রাত হয়ে যাওয়ায় মাদারিহাট থানারই একটি ঘরে তাঁদের থাকতে দেওয়া হয়। ঘরটি কখনও ‘চাইল্ড ফ্রেন্ডলি কর্নার’, কখনও অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, এ দিন সকাল সাড়ে ৬টায় সেই ঘরে গিয়ে খোঁজ করে রাহুলকে দেখতে পাননি এক সিভিক কর্মী। তার পরে তাঁর দেহ মেলে শৌচাগারে, ভেন্টিলেটরের লোহার রড থেকে ঝুলন্ত অবস্থায়। কখন ঘটনাটি ঘটেছে, ঘরে থাকা তিন জন জানাতে পারেননি বলে পুলিশের দাবি।

রাহুলের বাবা গোপাল রায় বলেন, “রবিবার ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে কোচবিহারে গিয়েছিল। মাঝে ওর সঙ্গে ফোনে কথাও হয়। এ দিন মাদারিহাট থানা থেকে বলা হয়, থানায় রাহুলের দেহ আছে।” ছেলের অপমৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে তিনি কিছু বলেননি। চালসা থেকে এ দিন আসলামকে উদ্ধার করে বীরপাড়া থানায় রাখা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement