জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে আনা হল রাজগঞ্জে গ্রেফতার হওয়ায় বাংলাদেশের যুবককে। ছবি: সন্দীপ পাল।
বাংলাদেশে ধৃত সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে তিনি আন্দোলন করেছিলেন। তার জেরে, জুটেছে প্রাণে মারার ‘হুমকি’। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নদী সাঁতরে বুধবার ভারতে ঢোকার চেষ্টা করা জীবন বর্মণ, এমনই দাবি করেছেন। তবে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের মদনবাড়ি-পেকরাভিটা বিওপি-তে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাঁকে গ্রেফতার করে। জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে এ দিন হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, বলে জানান সহকারী সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ জানায়, জীবন বাংলাদেশের রংপুর জেলার বাসিন্দা। সেখানে সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র তিনি। এ দিন জেলা আদালতে তোলার সময় জীবন দাবি করেন, বাংলাদেশে অশান্তি শুরু হয়েছে। চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তি চেয়ে তিনি আন্দোলন করেছিলেন। এর পর থেকে তাঁকে প্রাণে মারার ‘হুমকি’ দেওয়া হয়। ‘প্রাণ বাঁচাতে’ করতোয়া নদী সাঁতরে ভারতে আশ্রয়ের জন্য ঢোকার চেষ্টা করেন তিনি।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ গণপত খণ্ডবহালে বলেন, ‘‘বিএসএফ বাংলাদেশের এক যুবককে গ্রেফতার করে থানায় তুলে দিয়েছে। নির্দিষ্ট মামলা করে ধৃতকে আদালতে তোলা হয়েছে।’’ কী উদ্দেশে ওই যুবক ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে
দাবি পুলিশের।