Dooars Tea garden

চা পাতায় কীটনাশক কতটা, মাপবে যন্ত্র

তৈরি চা পাতায় ক্ষতিকারক কীটনাশক পেয়েছে চা পর্ষদের (টি বোর্ড) পরীক্ষা। কিছু ক্ষেত্রে চা পাতায় কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি ডুয়ার্স চায়ের রফতানির বেশ কয়েকটি দরজা বন্ধ করেছে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কীটনাশক সমস্যার মোকাবিলায় মুশকিল আসান ‘যন্ত্র’ পেতে চলেছে ডুয়ার্সের চা বলয়। চলতি মরসুমে পাতা তোলার শেষ দিন, আগামিকাল ডুয়ার্স চায়ের সার্ধশতবর্ষ উদ্‌যাপনে আত্মপ্রকাশ হবে এই যন্ত্রেরও। ছোট্ট একটি যন্ত্রের সাহায্যে জানা যাবে চা পাতার মধ্যে কীটনাশকের পরিমাণ কতটা রয়েছে।

Advertisement

তৈরি চা পাতায় ক্ষতিকারক কীটনাশক পেয়েছে চা পর্ষদের (টি বোর্ড) পরীক্ষা। কিছু ক্ষেত্রে চা পাতায় কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি ডুয়ার্স চায়ের রফতানির বেশ কয়েকটি দরজা বন্ধ করেছে। দেশীয় বাজারেও কীটনাশকের কারণে চায়ের চাহিদা কমেছে। এই পরিস্থিতিতে ‘স্মল ওয়ান্ডার’ নামে এই যন্ত্রটি গাছের পাতা পরীক্ষা করেই কীটনাশকের উপস্থিতির মাত্রা বাতলে দেবে বলে দাবি। তার ফলে, ইচ্ছে মতো গাছে কীটনাশকের প্রয়োগের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে দাবি। তার জেরে, তৈরি চায়েও কীটনাশকের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামিকাল, ৩০ নভেম্বর লাটাগুড়ির একটি হোটেলে দেশের বিভিন্ন চা উৎপাদক থেকে শুরু করে বিপণন সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনে এই যন্ত্রের কাজ হাতেকলমে পরীক্ষা করা হবে।

৩০ নভেম্বর ডুয়ার্স চায়ের দেড়শো বছর পূর্তি উৎসবের মূল আয়োজক ছোট চা চাষিরাই। ১৮৭৪ সালে অবিভক্ত জলপাইগুড়ির গজলডোবায় প্রথম বাণিজ্যিক চা চাষ শুরু হয়েছিল। ডুয়ার্স চায়ের নিজস্ব পরিচিতির লোগো রয়েছে। যদিও এই উৎসবের আয়োজন করে চা উৎপাদকদের আক্ষেপ, ডুয়ার্স চায়ের চাহিদা থাকলেও, দেশের বাজারে নিজস্ব পরিচিতি পায়নি। ছোট চা চাষিদের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির তরফে বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “চা শিল্পের সামনে কীটনাশক একটি বড় সমস্যা। সে সমস্যা সমাধানে একটি যন্ত্রের প্রয়োগ করা হবে। গাছের পাতায় কীটনাশকের উপস্থিতি জানতে পারবে যন্ত্রটি। কীটনাশক সমস্যা সমাধান হলে, চায়ের চাহিদাও বাড়বে। বেশ কয়েকটি সমস্যার সমাধান মিলবে।” দেড়শো বছরের অনুষ্ঠানে কীটনাশকের প্রয়োগ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আলোচনাও রয়েছে।

Advertisement

সার্ধশতবর্ষ উৎসব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার একটি আলোচনারও আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্যোক্তাদের তরফে রজত কার্জি বলেন, “আমরা চাই, ডুয়ার্সের চা নিজস্ব পরিচিতিতে বিক্রি হোক। এখন ডুয়ার্স চা বিক্রি হয় অসম বা অন্য চা পাতার নাম করে। দেড়শো বছর পেরিয়ে এই অবহেলাটুকু ঘোচাতে চাই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement