—প্রতীকী চিত্র।
গত বছর শিলিগুড়ি শহর, পাহাড়ে কালিম্পং জেলায় ডেঙ্গির সংক্রমণ চিন্তায় ফেলেছিল রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের। আর গত পাঁচ বছর জানুয়ারি থেকে জুন (২৩ জুন) পর্যন্ত সময়ের হিসাবে এ বছর ‘রেকর্ড’ ডেঙ্গি সংক্রমণ ঘটেছে দার্জিলিং পাহাড়ে। তাই বিষয়টি চিন্তা এবং উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। শনিবার পাহাড়ের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কার্শিয়াঙে বৈঠক করেন রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব তথা ‘স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’ (সুডা)-র অতিরিক্ত অধিকর্তা জলি চৌধুরী। এ দিন শিলিগুড়িতে নতুন করে এক জনের দেহে ডেঙ্গির সংক্রমণও মিলেছে।
‘সুডা’-র অতিরিক্ত অধিকর্তা বলেন, ‘‘কালিম্পঙে গত বছর ডেঙ্গির সংক্রমণ বেশি ছিল। জল জমা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। পাহাড়ে জলের ঘাটতি রয়েছে। তাই অধিকাংশ বাসিন্দাকে জল মজুত করে রাখতে হয়। ফেলা যায় না। আমরা তাদের বলছি, যে জায়গায় জল মজুত করা হচ্ছে, তার মুখ ঢেকে রাখতে। পাত্রের জল ফেলে দেওয়া হলেই হবে না। পাত্রের গায়ে মশার লার্ভা লেগে থাকে। তাই পাত্রের গা মেজে নিতে হবে।’’
স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব বলছে, দার্জিলিং পাহাড়ে ডেঙ্গিতে এখন পর্যন্ত ১৮ জন আক্রান্ত। গত বছর এই সময় পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল দু’জন এবং ২০২১ সালে ছিল এক জন। ২০১৯ সালে ২৩ জুন পর্যন্ত আক্রান্ত ছিল পাঁচ জন এবং ২০২০ সালে কোভিডের সময় অবশ্য ডেঙ্গিতে কোনও আক্রান্ত মেলেনি। পাহাড়ে সংক্রমণ বেশি থাকায়, এ বছর এখন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণও গত পাঁচ বছরে রেকর্ড ৩৮ জন রয়েছে। গত বছর ছিল ৩৩ জন। ২০২১ সালে সে সংখ্যা ছিল নয় জন, ২০১৯ সালে ২২ জন এবং ২০২০ সালে ছিল তিন জন। বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্ত দার্জিলিঙের পুলবাজার ব্লকের বাসিন্দা এক জন দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
কালিম্পঙের জেলাশাসক আর বিমলার দাবি, ‘‘গত বছর ডেঙ্গির সংক্রমণ বেশি ছিল। এ বছর অনেকটা কম। তবে কিছু সংক্রমণ রয়েছে। শুরু থেকে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে জোর দেওয়া হয়েছে।’’ কার্শিয়াঙের বৈঠকে কার্শিয়াং, দার্জিলিং, মিরিক, কালিম্পং পুর এলাকা নিয়ে আলোচনা হয়।
শিলিগুড়িতে এ দিন এক মহিলার দেহে কোভিডের সংক্রমণ মিলেছে। তার বাড়ির ঠিকানা ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা গিয়ে আশপাশের জায়গা পরিষ্কার করা, ‘স্প্রে’ করার কাজ করেন। তবে বাসিন্দাদের দাবি, মহিলা এখন এখানে সব সময় থাকেন না। অন্যত্র থাকেন। পুরসভার তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।