প্রতীকী ছবি।
সালিশি সভায় অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক নাবালিকা। বুধবার জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের একটি গ্রামের ঘটনা। এ দিন সন্ধেয় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নাবালিকাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, সোমবার বিকেলে গ্রামের রাস্তায় স্থানীয় এক ব্যক্তি নাবালিকার যৌন নিগ্রহের চেষ্টা করে। তার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক জন ছুটে এসে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর করেন। বুধবার গ্রামের মাঠে বসে সালিশি সভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জিতেন বিশ্বাস ও তৃণমূলের স্থানীয় কয়েক জন নেতা।
ওই সভায় অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিরবার নাবালিকার মাকে অপমান ও মারধর করে বলে অভিযোগ। তার পরেই ভেস্তে যায় সভা। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
নাবালিকার পরিবারের দাবি, ঘটনার পরে পুলিশের দ্বারস্থ হতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু গ্রামবাসীদের একাংশ বাধা দেন। এ দিনের ঘটনার পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান ওই নাবালিকার মা। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তার শাস্তি চাই। থানায় অভিযোগ করব।’’
সালিসি সম্পূর্ণ বেআইনি। তার পরেও থানায় না পাঠিয়ে সালিশি সভার আয়োজন কেন? স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির জিতেন বিশ্বাসের দাবি, ‘‘ওই নাবালিকার পরিবারের কথা মতো সালিশি সভা বসেছিল। কিন্তু মীমাংসা হওয়ার আগেই গন্ডগোল বেধে যায়। সালিশি সভা আর হয়নি।’’
তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর চন্দন ভৌমিক বলেন, ‘‘নাবালিকার পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হলে আইন আইনের মতো চলবে। এখানে দলেরও কোন বিষয় নেই।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে ঘটনায় তদন্ত করে দেখা হবে।