—প্রতীকী ছবি।
পুরোদমে চলছে বিয়ের মরসুম। সঙ্গে চলছে সাজগোজ, খাওয়াদাওয়া, নাচগান। পাশাপাশি প্রিওয়েডিং, ব্যাচেলর পার্টির ধুম লেগেই রয়েছে। তবে দিনে দিনে বিয়ের ধরন বদলাচ্ছে। তাল মিলিয়ে বদলাচ্ছে বিয়ের নানা অনুষঙ্গ। বিয়ের আমন্ত্রণপত্রের ধাঁচও পাল্টে গিয়েছে। তবে যা বদলায়নি তা হল—বিয়ের এই মরসুমে বিয়েবাড়ির অন্দরের মজার মজার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসা। সে রকমই একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা দেখে হাসির রোল উঠেছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে এবং কবে ঘটেছে তা ওই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট নয়।
সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ছাঁদনাতলায় মালাবদলের অনুষ্ঠান চলছে। মালা হাতে লাজুক ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বর এবং কনে। এমন সময় বরের এক আত্মীয় এসে বরকে কোলে তুলে নেন । পাল্লা দিতে এগিয়ে আসেন পাত্রীর এক আত্মীয়ও। আত্মীয় ওই যুবকও কনেকে কোলে তুলে নেন। কোলে চেপে শূন্যেই হয় মালাবদল। তবে তাঁদের কোল থেকে নামানোর পরেই ঘটে যায় একটি কাণ্ড। যে যুবক তাঁকে কোলে তুলেছিলেন, তাঁকেই সপাটে চড় মেরে বসেন পাত্রী। যুবক হতভম্ব হয়ে যান। এর পর রেগে গিয়ে মণ্ডপ ছেড়ে চলে যান। তবে যাওয়ার সময় রাগ মিটিয়ে যান নিজের স্ত্রীর উপর। স্ত্রীকে চড়ে মারেন তিনি। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
‘শরিফ ভিডিয়ো’ নামের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে গত ২১ ডিসেম্বর পোস্ট করা ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে পাত্রীর উপর বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, ওই আত্মীয় কোনও দোষ করেননি। আবার স্ত্রীর উপর রাগ মেটানোর জন্য ওই যুবকের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। ভিডিয়ো দেখে এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘নববধূ খুব অদ্ভুত। বর এর সঙ্গে সংসার করতে পারলে হয়!’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘পাত্রী ভুল করেছেন। তবে যা-ই হয়ে যাক, নিজের স্ত্রীকে চড় মারা উচিত হয়নি।’’