আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানের ব্যাবসায়ীরা প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছেন। নিজস্ব চিত্র।
বিধ্বংসী অগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ৭টি দোকান। রবিবার গভীর রাতে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি আনন্দনগর স্টেশন মোড় এলাকার ঘটনা। রাতে ময়নাগুড়ি থানার একটি পুলিশ ভ্যান পেট্রোলিংয়ের সময় প্রথম একটি দোকানে আগুন দেখতে পায়। খবর যায় দমকলে। দমকল এসে পৌঁছনোর আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেট্রোলিং ভ্যানের পুলিশ কর্মীরা আগুন দেখতে পেয়েই দমকলে খবর দেন। তবে ততক্ষণে স্থানীয়রাও চলে আসেন ঘটনাস্থলে। দমকল এসে পৌঁছনোর আগেই সবাই মিলে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। কিন্তু আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দমকল এসে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে বিধ্বংসী আগুনে ৭টি দোকানের প্রায় সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
আগুনে মোট কত লাখ টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। আর আগুন লাগার কারণ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি পুলিশ বা দমকল আধিকারিকরা। দমকল আধিকারিকরা আগুন লাগার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
ইতিমধ্যেই আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের ব্যবসায়ীরা প্রশাসনিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্ৰস্ত ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, ‘‘কী করে কী হল, বুঝে উঠতে পারছি না। কিছু বোঝার আগেই আগুনে সব শেষ করে দিল। প্রশাসনিক সাহায্য না পেলে আমরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারব না। প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি।”