Maynaguri

‘মেলেনি’ ঘর ও জব-কার্ড, বাস মাটিতে গর্ত খুঁড়েই

লক্ষ্মীমোহনের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বেশ কয়েক বার সরকারি ঘর চেয়ে আবেদন জানানো হলেও, কাজ হয়নি।

Advertisement

অর্জুন ভট্টাচার্য  

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৩ ০৯:২৫
Share:

এ ভাবেই বসবাস। নিজস্ব চিত্র

জব-কার্ড নেই। অভিযোগ, মেলেনি সরকারি ঘর বা কোনও সুযোগ-সুবিধা। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিন সন্তান ও বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে মাটির নীচে গর্ত করে কোনও ভাবে জীবনযাপন করছেন পেশায় দিনমজুর লক্ষ্মীমোহন রায়। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে এমন দৃশ্য নজরে পড়তেই তৃণমূল নেতারা সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বিজেপিও। ময়নাগুড়ির আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপগড় গ্রামের ঘটনা।

Advertisement

লক্ষ্মীমোহন বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন আলিপুরদুয়ারে ছিলাম। স্ত্রীর মৃত্যুর পরে, বছর পাঁচেক আগে আমগুড়ির পৈতৃক বাড়িতে ফিরে আসি। কোনও ভাবে বাঁশ ও টিন দিয়ে ঘর করে বসবাস করছি। মাঝেমধ্যেই ঝড়ে ঘরের টিনের ছাউনি উড়ে যায়। তখন শাশুড়ি শোভা রায় ছেলে মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে ঘরের ভিতরে মাটির নীচে গর্ত করে থাকতে শুরু করি।’’ শোভা রায় বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারে থাকাকালীন এক দুঃস্থ পরিবারকে মাটির নীচে গর্ত করে থাকতে দেখেছিলাম। সে অভিজ্ঞতা থেকেই এমন ভাবে থাকার ব্যবস্থা করেছিলাম।’’

লক্ষ্মীমোহনের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বেশ কয়েক বার সরকারি ঘর চেয়ে আবেদন জানানো হলেও, কাজ হয়নি। জব-কার্ড তৈরি করতেও নাকি তিন হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁর। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায়।

Advertisement

প্রধান বলেন, ‘‘লক্ষ্মীমোহন রায় তাঁর দুরবস্থার কথা কাউকেই জানাননি। স্বভাবতই কোনও সহযোগিতা করতে কেউই এগিয়ে আসেননি। সম্প্রতি দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দলের নেতারা তাঁর বাড়ি গিয়ে সব জানতে পারেন। এর পরেই পঞ্চায়েতের তরফে তাঁর বাড়িতে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। শৌচাগার তৈরি হচ্ছে। একটি ঘরও তৈরি করে দেওয়া হবে শীঘ্রই।’’

বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘‘লক্ষ্মীমোহন রায়ের দুরবস্থার ঘটনা জানতে পেরে দলের তরফে সাহায্য করা হচ্ছে। তাঁর বাড়ি গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছেদেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement