শেষ পর্যন্ত বাগে এল ক্ষেপা ষাঁড়। নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গল থেকে লোকালয়ে বাইসন ঢুকে পড়ার ঘটনা নতুন নয় ডুয়ার্সে। কিন্তু এ বার ক্ষেপা ষাঁড়কে ঘিরে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধল ধূপগুড়ি শহরে। ষাঁড়ের হামলায় আহত হয়েছেন শহরের সাত বাসিন্দা। ছুটতে ছুটতে সেই ষাঁড় ঢুকে পড়ে পড়ে স্থানীয় একটি স্কুলে। ফলে শিকেয় ওঠে পঠনপাঠন। খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে হয়ে পড়েন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে প্রথমে ধূপগুড়ি হাইস্কুলের এক শিশুকে গুঁতো মারে ষাঁড়টি। এরপর স্থানীয়রা তাড়া করলে স্কুলের ভেতর ঢুকে পড়ে ষাঁড়টিকে। ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্কুলের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলের মাঠেই ঘোরাফেরা করতে থাকে ষাঁড়টি। লোকজন কাছে গেলেই তেড়ে আসে। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পশুপ্রেমীদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছান তাঁরা। কিন্তু তিন ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়েও ক্ষেপা ষাঁড়কে বাগে আনতে ব্যর্থ হন।
এর পর খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ির দমকল-বাহিনীর কর্মীদের। দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পশুপ্রেমীদের সাহায্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চেষ্টা চালিয়ে ষাঁড়টিকে বাগে আনতে সক্ষম হন। এরপর দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘুমপাড়ানি ইঞ্জেকশন দিয়ে বেঁহুশ করা হয় ষাঁড়টিকে। পাগল ষাঁড় গরুকে দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান স্কুল চত্বরে। সে সময় স্কুলে চলছিলো একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ভর্তি প্রক্রিয়া। স্কুলের ভিতর ষাঁড় গরু ঢুকে যাওয়ায় রীতিমত সমস্ত কাজকর্ম শিকয় উঠে যায়।