—প্রতীকী ছবি।
মাথায় চুল নেই। হাতে এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন। কোমরে আবার দড়ি বাঁধা! বাংলা-বিহার সীমানায় মহানন্দা নদী থেকে এক প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের চাঁচল থানা এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে চাঁচল থানার মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মায়াপুর গ্রামে মহানন্দা নদী থেকে মহিলার দেহটি উদ্ধার হয়। স্থানীয়েরাই দেহটি নদীতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আপাতত জেলার সব থানাকেই মহিলার ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনও মহিলা নিখোঁজ কি না, তা খোঁজ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিহারের পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছে কোনও মহিলার নিখোঁজ হওয়ার খবর রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, মহিলার হাতে ও গলায় দাগ ছিল। তিনি শারীরিক নির্যাতনের শিকার কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু মাথার চুল কেন কাটা হল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ আধিকারিকদের একাংশ। তদন্তকারীরা মনে করছেন, মরা মহানন্দায় এখন জল বেশি নেই। কচুরিপানায় ভরা। লোপাটের জন্যই হয়তো মহিলার দেহ কচুরিপানায় ভিতর লুকিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছিল।
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে আসার পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’