শিশুকে ‘ধর্ষণ’, থানায় যেতে ‘বাধা’

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি রায়গঞ্জের ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতে। অভিযোগ, ২ ডিসেম্বর দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে ওই শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। শিশুটির বাবার অভিযোগ, খবর এলাকায় ছড়াতেই অভিযুক্ত পালিয়ে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পড়শি বাড়ির এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ওই শিশুটির বাবা রায়গঞ্জ থানার ভাটোল পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, রাতেই ওই শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি রায়গঞ্জের ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতে। অভিযোগ, ২ ডিসেম্বর দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে ওই শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। শিশুটির বাবার অভিযোগ, খবর এলাকায় ছড়াতেই অভিযুক্ত পালিয়ে যান। সালিশি সভা বসিয়ে অভিযুক্তকে সামাজিক ভাবে শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পুলিশে অভিযোগ করতে তাঁকে বাধা দেওয়া। ঘটনার তিন দিন পরে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযুক্তকে নিয়ে এসে সালিশি সভা না বসানোয় তিনি ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মহম্মদ ইউসুফ আলিরও দ্বারস্থ হন। অভিযোগ, ইউসুফও তাঁকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করে সালিশি সভার জন্য অপেক্ষার পরামর্শ দেন।

তবে ইউসুফের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তাঁর কাছে ওই শিশুর বাবা বা তার পরিবারের লোকেরা যাননি। ইউসুফের কথায়, ‘‘ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে থাকলে, অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হোক।’’ রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতা শিশুকন্যা বাড়ির পাশের একটি মাদ্রাসায় নার্সারিতে পড়াশোনা করে। তার বাবার অভিযোগ, ২ ডিসেম্বর দুপুরে সে বাড়ির সামনের রাস্তায় খেলছিল। সেই সময় বছর পঞ্চাশের অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকে কোলে তুলে আদরের ছলে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে পরিবারের লোকেদের সব কথা জানায়।

শিশুটির বাবার কথায়, ‘‘ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকার মাতব্বরেরা সালিশি বসিয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আমাকে পুলিশে অভিযোগ না জানানোর পরামর্শ দেন। তিন দিন পরেও সালিশি সভা না হওয়ায় পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে যাই। তিনিও আমাকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করার কথা বলেন। এক সপ্তাহ পরেও কিছু না হওয়ায় পুলিশে অভিযোগ করতে বাধ্য হই।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রতিবেশিদের কাছে দাবি করেছেন, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে ওই শিশুটির পরিবার তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement