—প্রতীকী চিত্র।
লিঙ্ক পাঠানো হত সমাজমাধ্যমে। কেউ সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা! শিলিগুড়ির গোপন ডেরায় বসে এই ভাবেই প্রতারণাচক্র চালাচ্ছিলেন কয়েক জন। শুক্রবার রাতে সেই চক্রেরই ছ’জনকে গ্রেফতার করল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম শাখা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম রিজু রায়, পার্থ মণ্ডল, শুভম বারিক, সোমনাথ তরফদার এবং সন্দীপ দে। তাঁদের বিরুদ্ধে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকার বাসিন্দা। শিলিগুড়ি সংলগ্ন ইস্টার্ন বাইপাসের কানকাটা মোরে একটি বহুতলে ঘর ভাড়া নিয়ে প্রতারণারচক্র চালাচ্ছিলেন তাঁরা। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতারণার জন্য বহু মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়েছিল চক্রটি। মূলত গ্রাম-বস্তির গরিব মানুষের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়া হত। বিনিময়ে দেওয়া হত মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা। এতেও যদি কেউ রাজি না হতেন, আরও প্রলোভন দেখানো হত। সেই ভাড়া নেওয়া অ্যাকাউন্টেই জমা হত প্রতারণার অর্থ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ব্যারাকপুর পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন ব্যারাকপুরের এক বাসিন্দা। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রতারণাচক্রের হদিস পান তদন্তকারীরা। সেই মতো যোগাযোগ করা হয় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের আশিগড় ফাঁড়ির সঙ্গে। শিলিগুড়ি পুলিশের সহযোগিতাতেই ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তাঁদের নিজে যাওয়া হয় ভক্তিনগর থানায়। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি মোবাইল এবং এটিএম-ডেবিট কার্ড। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিংহ বলেন, ‘‘ব্যারাকপুর সাইবার ক্রাইম আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী আমরা সহযোগিতা করি। আজ ধৃতদের আদালতে পেশ করে ট্রানজ়িট রিমান্ডে ব্যারাকপুর নিয়ে যাওয়ার কথা।’’