হুড়াবাড়িতে বাস দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র।
হুঁশ ফিরেছে না।
বছরখানেক আগেই মুর্শিদাবাদ জেলায় বাস চালক মোবাইল ফোন কানে গুজে বাস চালানোয় নদীতে বাস পড়ে হতাহত হয়েছিলেন অনেকেই। বুধবার সকালে কার্যত একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল বুধবার মালদহের হবিবপুরের হুড়াবাড়িতে। ঘটা করে নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন বা কী ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে সচেতনতার প্রচার— সব কিছুই যেন ফক্কা!
এ দিন মালদহ থেকে নালাগোলাগামী যাত্রীবোঝাই একটি বেসরকারি বাস রাস্তার পাশে গাছে ধাক্কা দেয়। তাতে বাসে থাকা অন্তত ৫০ যাত্রীই কমবেশি জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও প্রশাসন মিলে যাত্রীদের উদ্ধার করে প্রথমে বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকায় ২৬ জন যাত্রীকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
যাত্রীদের একাংশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রুটের অন্য বাসের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে রেষারেষি করে বেপরোয়া ভাবে বাস চালাচ্ছিলেন চালক। মোবাইল ফোনও কানে গোঁজা ছিল। ওই অবস্থায় হুড়াবাড়ি এলাকায় রাস্তায় বাঁক নিতে গিয়ে উল্টে যায় বাসটি। যদিও বাস মালিক সংগঠন ও ট্রাফিক পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনার সময় বাস চালক ফোনে কথা বলছিলেন, এমন কোনও অভিযোগ তাঁরা পাননি। বাস চালক পলাতক।
জখমদের উদ্ধার। নিজস্ব চিত্র
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুরাবাড়ি গ্রামে তীব্র গতিতে চলতে চলতে বাসটি উল্টো দিক দিয়ে আসা একটি বেসরকারি বাসকে পাশাপাশি অতিক্রম করার পর বাঁক নিতে গিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়, সজোরে গিয়ে ধাক্কা দেয় রাস্তার পাশে একটি গাছে। জখম বস্ত্র ব্যবসায়ী দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘‘বাসটি প্রচন্ড গতিতে এবং রেষারেষি করে চলছিল। দুর্ঘটনার সময় চালকের কানে ফোন ছিল।’’ বাচামারির বাসিন্দা অসীমা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বুলবুলচণ্ডী পার হওয়ার পর থেকে বাসের গতি বেড়ে যায়। সম্ভবত পেছনে কোনও বাস চলে এসেছিল। তারপর একসময় বাসটি আচমকা উল্টে পড়ে।’’ জেলা ট্রাফিক পুলিশের ওসি তরুণ সাহা বলেন, ‘‘সব খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’