Coronavirus

ফের মৃত্যু, পুর এলাকায় আক্রান্ত ৩২

এ দিন মৃতদের মধ্যে এক জন শিলিগুড়ির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০৭:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক দিনে কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে মারা গেলেন চার জন। যদিও তাঁদের সবাই শিলিগুড়ির বাসিন্দা নন। বুধবার রাত পর্যন্ত শিলিগুড়িতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ জনে। আবার এ দিনই শিলিগুড়ি পুর এলাকায় নতুন করে ৩২ জনের করোনা সংক্রমণ মিলেছে।

Advertisement

এ দিন মৃতদের মধ্যে এক জন শিলিগুড়ির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ৪৪ বছরের ওই মহিলার সংক্রমণ ধরা পড়ায় প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোম থেকে মঙ্গলবার কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ দিন তিনি মারা যান। বুধবার সন্ধ্যার দিকে ওই হাসপাতালেই মারা যান ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। করোনার সংক্রমণ মেলার তাঁকে মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় সেখান থেকে এ দিন বিকেলে কাওয়াখালির হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃত বাকি দু’জনের মধ্যে এক জন শিলিগুড়ি লাগোয়া জলপাইগুড়ির সাহুডাঙির জামুরিভিটার বাসিন্দা। বছর ষাটের মহিলার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মঙ্গলবার রাতে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। আর এক মৃত পাঞ্জিপাড়ার বাসিন্দা ৩৫ বছরের এক যুবক। ১৫ জুন তাঁকে এই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।

কোভিডে লাগাতার মৃত্যুতে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তা নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বৈঠক ডেকেছেন করোনা নিয়ন্ত্রণে উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত আাধিকারিক সুশান্ত রায়। তিনি বলেন, ‘‘কেন পর পর এভাবে মৃত্যু হচ্ছে তা পর্যালোচনা করতে বৈঠক ডাকা হয়েছে।’’ সেখানে দুই কোভিড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও ডাকা হবে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘আমাদের এখানে মৃত্যুর হার খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

অন্যদিকে শিলিগুড়ির বিধায়ক ও পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যের শারীরিক পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। মাটিগাড়ার যে নার্সিংহোমে তিনি ভর্তি, বুধবার সেখান থেকে জানানো হয় আগের তুলনায় তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অক্সিজেন খুবই কম দরকার হচ্ছে। শরীরে জ্বরও নেই। আইসিইউ’তে রেখে নজরে রাখা হয়েছে। শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য মুকুল সেনগুপ্তেরও। এ দিনই কলকাতায় মারা গিয়েছেন ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এ দিন নতুন করে শিলিগুড়ি পুর এলাকায় যে ৩২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তার মধ্যে হিলকার্ট রোডের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখার ৪ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মাটিগাড়া কোভিড হাসপাতালের নার্স এবং গাড়ির চালক মিলে চারজন রয়েছেন। শিলিগুড়ি পুরসভার এক কর্মীও রয়েছেন। এ দিন মাটিগাড়ার ৬ জন এবং নকশালবাড়ির ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement