চা বাগান নিয়ে ১৩ই বৈঠকে তিন মন্ত্রী

চা বাগান শ্রমিকদের সমস্যা মেটানোর রূপরেখা ঠিক করতে শ্রম ও খাদ্য দফতরের সঙ্গে যৌথ পরিকল্পনা নিতে উদ্যোগী হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। ওই ব্যাপারে তিন দফতরের মন্ত্রীরা ১৩ জুন উত্তরকন্যায় বৈঠক করবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৬ ০২:০৮
Share:

চা বাগান শ্রমিকদের সমস্যা মেটানোর রূপরেখা ঠিক করতে শ্রম ও খাদ্য দফতরের সঙ্গে যৌথ পরিকল্পনা নিতে উদ্যোগী হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। ওই ব্যাপারে তিন দফতরের মন্ত্রীরা ১৩ জুন উত্তরকন্যায় বৈঠক করবেন। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরাও থাকবেন সেই বৈঠকে। তার পর শিলিগুড়ি লাগোয়া একাধিক চা বাগানের অবস্থা সরোজমিনে ঘুরে দেখতে যাওয়ারও কথা রয়েছে তিন মন্ত্রীর। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “শ্রম ও খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ১৩ জুন বৈঠক হবে। চা বাগানের সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হবে। উত্তরবঙ্গের বন্ধ চা বাগান খোলার ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা চলছে।’’

Advertisement

সরকারি সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের চা বাগান শ্রমিকদের জন্য ইতিমধ্যে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দু’টাকা কেজি দরে চালও পাচ্ছেন অনেকে। তার পরেও বিক্ষিপ্ত ভাবে রেশন পরিষেবা নিয়ে সমস্যার অভিযোগ উঠছে। বহু বাগানে স্বাস্থ্য, পানীয় জলের মতো নানা সুযোগসুবিধেও ঠিকমতো মিলছে না বলে অভিযোগ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পরে রবীন্দ্রনাথবাবু চা বাগানের বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধানে বাড়তি জোর দিতে চাইছেন। ওই ব্যাপারে শ্রম ও খাদ্য দফতরের সঙ্গে যৌথ পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে আলোচনা করে ওই ব্যাপারে রূপরেখা ঠিক করতে চাইছেন রবিবাবু। তিনি বলেন, “আগেও চা বাগানের বাসিন্দাদের উন্নয়নে প্রচুর কাজ হয়েছে। আমরা আরও কাজ করতে চাইছি। রেশন ব্যবস্থা, শিক্ষা, পানীয় জল, রাস্তাঘাট— সব বিষয়ই খতিয়ে দেখা হবে।”

সরকারি সূত্রের খবর, বন্ধ চা বাগান খোলার ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ জন্য বন্ধ বাগানের মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার ব্যাপারে তাঁরা উদ্যোগী হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন রবিবাবু। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সাত জেলার উন্নয়নের রূপরেখা ঠিক করতেও জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠকের দিন চূড়ান্ত হয়েছে। উত্তরকন্যায় আগামী ৮ জুন ওই বৈঠক হবে। সরকারি সূত্রের খবর, জেলাশাসকদের কাছে উন্নয়নমূলক প্রকল্প চাওয়া হবে। কোন কোন কাজ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করা দরকার, সে সবও নিয়ে আলোচনা করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement