চা-বাগানের মাটির নালায় এ ভাবেই খেলতে দেখা গিয়েছে দু’টি চিতাবাঘ শাবককে। — নিজস্ব ছবি।
মালবাজারের চা-বাগানে দু’টি চিতাবাঘের শাবকের দেখা মিলল। তাদের দেখা পেয়েই আশঙ্কার প্রহর গুনছেন রানিচেরা চা-বাগানের শ্রমিক থেকে ম্যানেজার। কারণ, শাবক যখন এসেছে তখন ধারেকাছেই ঘাপটি মেরে লুকিয়ে রয়েছে মা চিতাবাঘও!
জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের চা-বাগানে চিতাবাঘের হানা নতুন কোনও ঘটনা নয়। প্রায় প্রতি বছরই এমন ঘটনার কথা শোনা যায়। চিতাবাঘের খপ্পরে পড়ে প্রাণও যায় গবাদি পশুর। মানুষের হতাহতের খবরও বিরল নয়। এই পরিস্থিতিতে ডুয়ার্সের অন্যতম চা-বাগান রানিচেরায় মিলল চিতাবাঘের দু’টি বাচ্চা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকেরা বাগানে কাজ শুরু করতেই তাঁদের কানে আসে কান্নার আওয়াজ। সেই আওয়াজের পিছু ধাওয়া করে দেখা যায় বাগানের মাটির নালায় জ্বলজ্বল করতে চোখ। দিব্য হামাগুড়ি দিচ্ছে এক জোড়া চিতাবাঘের বাচ্চা। মানুষ দেখে তাদের দাঁত খিঁচোতেও দেখা যায়। যা দেখে আশঙ্কার প্রহর গোনা শুরু হয় বাগানে। কারণ, শাবক যখন নালায়, তখন ধারেকাছেই কোথাও আছে মা চিতাবাঘও। এবং সে যে কোনও মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে মানুষ, গবাদি পশুর উপর।
চিতাবাঘের শাবক দেখেই শ্রমিকেরা সঙ্গে সঙ্গে বাগানের ম্যানেজারকে খবর দেন। বন্ধ হয়ে যায় কাজ। ম্যানেজার খবর দেন বন দফতরকে। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কিন্তু তাঁরা শাবক দু’টিকে উদ্ধার করেননি। কারণ বাচ্চাগুলো বয়সে এতই ছোট যে তাদের মায়ের কাছ থেকে আলাদা করায় ঝুঁকি আছে। বন দফতর শাবকগুলোর উপর সর্ব ক্ষণ নজর রাখছে। যদিও শাবকগুলির মা-কে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।