কোচবিহারে দুই বিজেপি সদস্যের তৃণমূলে যোগদান। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি ছেড়ে রবিবারই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে এ বার কোচবিহারেও গেরুয়া শিবিরে ভাঙন। জেলায় দখলে থাকা একটিমাত্র পঞ্চায়েতও হারাতে বসেছে বিজেপি! সোমবার শাসকদলে যোগ দিলেন ঘোকসাডাঙা পঞ্চায়েতের বিজেপির উপপ্রধান রাজু সরকার এবং দলের পঞ্চায়েত সদস্য অধীর সরকার। জেলার দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।
কোচবিহারের ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র ঘোকসাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতই বিজেপির দখলে রয়েছে। গত ভোটে ১৪ সদস্যের এই পঞ্চায়েতে বিজেপি জিতেছিল ৯টি আসনে। আর তৃণমূল ৫টিতে। দুই সদস্য শাসকদলে যোগ দেওয়ায় এ বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল বিজেপি। দুই নেতাকে দলে যোগদান করিয়ে অভিজিৎ বলেন, ‘‘ঘোকসনডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে বলা হয়েছিল, যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে চান এবং যাঁরা বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে, তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির উপপ্রধান এবং এক জন পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন।’’
তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে মাথাভাঙা ২ ব্লকের বিডিওর কাছে। এতে অবশ্য বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না বলেই দাবি করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়। তিনি বলেন, ‘‘এই দুই পঞ্চায়েত সদস্য কোনও দিনই বিজেপির ছিল না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বোর্ড গঠনের সময় তাঁরা লুকিয়ে ছিলেন। উপপ্রধান করার শর্তে তাঁরা বিজেপিকে বোর্ড গঠন করতে সহযোগিতা করেছিলেন। তাঁরা জানেন, এ বার বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁরা টিকিট পাবেন না। তাই তাঁরা টিকিটের লোভ তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এঁরা দলে থাকল কি, থাকল না, তাতে দলের কিছু যায় আসে না।’’ অনাস্থা প্রস্তাব এনেও কোনও লাভ হবে না বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা।