বিজেপি নেত্রী সাগরিকা এবং বিজেপি নেতা কানাই বিশ্বাস (বাঁ দিক থেকে)। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি দলীয় কার্যালয়ের মধ্যেই মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদিকা এবং এবং দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জড়ালেন হাতাহাতিতে। মারধরের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই নেত্রী বলে খবর। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। দুই নেতানেত্রীকেই আপাতত দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ করেছে দল।
বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় গঙ্গারামপুরের বিজেপি কার্যালয়ে প্রতিদিনের মতো সাধারণ কর্মীসমর্থকদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন নেতারা। সেখানে বিজেপির টাউন মহিলা সাধারণ সম্পাদিকা সাগরিকা সরকার এবং বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সম্পাদক কানাই বিশ্বাসের কথা কাটাকাটি হয়। বিতণ্ডা এমন পর্যায়ে পৌঁছোয় যে, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন কর্মীরা। তার মধ্যেই দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। নেত্রীর অভিযোগ, মারধরের চোটে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অস্বস্তিতে পড়েন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী আক্রান্ত ওই মহিলা নেত্রী এবং বিজেপি নেতা, দু’জনকেই আপাতত দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে বারণ করেছেন বলে জানান। তাঁর কথায়, ‘‘দল এই রকম কোনও ঘটনাকে সমর্থন করে না। প্রয়োজনে পরে দল আরও পদক্ষেপ করতে পারে এ ব্যাপারে।’’ অন্য দিকে, আক্রান্ত বিজেপি নেত্রী সাগরিকা বর্তমানে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা নিয়ে আর কোনও কথা বলতে চাইছেন না কানাই।
এই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষের সুযোগ হাতছাড়া করেনি তৃণমূল। দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার এই ঘটনাকে ‘মধ্যযুগীয় বর্বরতা’ বলে মন্তব্য করেন। কী ভাবে এক জন মহিলা নেত্রীর গায়ে হাত তুলতে পারেন তাঁর দলেরই এক জন নেতা, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মৃণালের কটাক্ষ, ‘‘বিজেপির পুরো নাম ভারতীয় জঞ্জাল পার্টি। সাধারণ সম্পাদিকাকে পার্টি অফিসের ডেকে নিয়ে যেখানে মারধর করা হয়, সেখানে ওই দল নিয়ে আর কী বলার থাকতে পারে!’’