তিন কোটির হেরোইন-সহ গ্রেফতার দুই

অভিযান চালিয়ে হেরোইন সমেত দুই কারবারীকে গ্রেফতার করল মালদহ জেলা পুলিশ। নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে মালদহের বৈষ্ণবনগরের পুরাতন ১৬ মাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৬ ০২:৩৯
Share:

অভিযান চালিয়ে হেরোইন সমেত দুই কারবারীকে গ্রেফতার করল মালদহ জেলা পুলিশ। নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে মালদহের বৈষ্ণবনগরের পুরাতন ১৬ মাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাদের।

Advertisement

মাদক কাণ্ডে মালদহ যোগ সামনে এসেছিল আগেই। দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়া আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বীরভুমের তিন যুবককে জেরা করেই সেই তথ্য পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। তারপর থেকেই মাদক রুখতে তৎপর হয়েছে জেলা পুলিশ। প্রায় তিন কেজি হেরোইন সমেত ওই দুই যুবক গ্রেফতার হওয়ায় জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কোথায় থেকে মাদক গুলি এলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম চিরঞ্জিত মণ্ডল ও নুর নাসিব আলি। চিরঞ্জিত কালিয়াচকের সাহাবাজপুর এবং নুর কালিয়াচকের উত্তর দড়িয়াপুরের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়ে আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। সরকারি আইনজীবী তীর্থ বসু বলেন, বিচারক তাদের সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

সপ্তাহ দুয়েক আগে দিল্লিতে মাদক সহ বীরভুমের দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করে। সেই সময় জানা গিয়েছিল বাংলাদেশ থেকে মালদহ হয়ে দিল্লিতে পৌঁছচ্ছে মাদক। সেখান থেকে আফগানিস্তানে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর, ইংরেজবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আফিম চাষ হয়। এক বিঘা জমির আফিম থেকে এক কেজি আঠা মেলে। এক কেজি আঠা থেকে তৈরি হয় ১০০ গ্রাম হেরোইন । এক কেজি হেরোইনের বাজার দর প্রায় এক কোটি টাকা। আগে হেরোইন তৈরির জন্য আফিমের আঠা মালদহ থেকে পাঠানো হত অন্য রাজ্যে। এখন মালদহ জেলাতেই তা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন একটি মারুতি গাড়ি করে কালিয়াচক থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল চিরঞ্জিত ও নুর নাসেব। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে তাদের আটকায় পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে তিন প্যাকেট মাদক উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে প্রতিটি প্যাকেটে এক কেজি করে মাদক রয়েছে। যার বাজারদর প্রায় তিন কোটি।

পুলিশ জানিয়েছে, চিরঞ্জিত ও নুর মাদকগুলি ফরাক্কা নিয়ে যাচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ওই দুই যুবককে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement