স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আরও এগিয়ে এনকাউন্টারে হত্যা করার কথা বলেছেন। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জনতার রাগের সাক্ষী থেকেছে রাজপথ। সেই রাগ অনেক সময়ই ফুটে বেরিয়েছে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড বা ‘আরও কড়া সাজা’র দাবির মধ্যে দিয়ে। ২০১২ সালে দিল্লির নির্ভয়া-কাণ্ড বা ১৯৯৪ সালে কলকাতার আবাসনে স্কুলপড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরও ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়েছিল প্রতিবাদ আন্দোলন। কেন বার বার এ ধরনের ঘটনার পর হিংস্র সাজার পক্ষে জনমত তৈরি হয়? মৃত্যুদণ্ড কি আদৌ সমাজে ধর্ষণের প্রবণতা কমাতে পারে? ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ কি আদৌ কোনও দৃষ্টান্ত তৈরি করে? নাকি ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের প্রতিরোধ করতে গেলে অন্য প্রশ্ন তোলা জরুরি? কী বলছেন আইন বিশেষজ্ঞ, নারী আন্দোলন এবং মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মীরা?